কোলেস্টেরল থেকে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। ছবি: সংগৃহীত
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, এমন কিছু কারণে কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতি বছর উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সমীক্ষা বলছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। বয়স বাড়লেই যে এমন ক্রনিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগ। তা ছাড়া, শীত মানেই উৎসবের মরসুম। জমিয়ে ভূরিভোজ। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। কোলেস্টেরল থেকে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে এ়ড়িয়ে চলুন কয়েকটি খাবার।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
শীতকাল বলতেই চোখের সামনে যে খাবারগুলি ভেসে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম মোয়া। শীতের আমেজ গায়ে মেখে মোয়া খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কিছু দিন পরেই পৌষপার্বণের উৎসব। ঘরে ঘরে এই সময় পিঠেপুলি, পাটিসাপটা তৈরির ধুম পড়ে। তবে শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বাঁধলে এই ধরনের খাবারগুলি থেকে দূরে থাকাই ভাল। ঘি, ক্ষীর দিয়ে তৈরি এই ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। এই ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল-এর মাত্রা বাড়তে পারে। এ ছাড়া, কোলেস্টেরল থাকলে নরম পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরি। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি ওজনও বাড়িয়ে দিতে পারে এই পানীয়গুলি।
কুকিজ়
শীতকাল কেক খাওয়াটাই দস্তুর। কেক, পেষ্ট্রির মতো খাবারে মাখনের পরিমাণ অনেক বেশি। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশির ভাগ কেকেরই প্রধান উপকরণ মাখন। কোলেস্টেরল থাকলে সেগুলি না খাওয়াই ভাল। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন কেক। সে ক্ষেত্রে যেটা সুবিধা, তা হল, কেকে মাখনের পরিবর্তে কলা বা আপেলের সস্ ব্যবহার করতে পারেন।
ভাজাভুজি
কোলেস্টেরল থাকলে ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার থেকে দূরে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ এই ধরনের খাবারে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বলে এমন মুখরোচক খাবারের স্বাদ নেবেন না, তা হয় না। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই খাবারগুলি। সে ক্ষেত্রে সাদা তেল বা সর্ষের তেলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল।