পা ব্যথা কিসের উপসর্গ? প্রতীকী ছবি
কিছু দিন ধরেই পায়ে ব্যথা করছে? ব্যথার ওষুধ খেয়েও কমছে না কোনও ভাবে? হতে পারে বড় বিপদের সঙ্কেত। সাবধান করছেন চিকিৎসকরা। পুরুষদের ক্ষেত্রে পায়ে ব্যথা হতে পারে প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ।
অনেক সময়ে ক্যানসার প্রস্টেটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্যানসার যদি লসিকাগ্রন্থির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তবে রক্তসঞ্চালনের পথ অবরুদ্ধ হতে পারে। হতে পারে ব্যথা।
শুধু পা নয়, পিঠের নীচের দিক, কোমর, নিতম্ব, কুচকি ও থাইয়ের ব্যথাও প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি অনেক বেশি দেখা যায়।
কিন্তু এ তো গেল একটি লক্ষণ। আর কী কী দেখে চেনা যায় এই রোগ? কী দেখে হতে হবে সতর্ক?
প্রস্টেট ক্যানসার পুরুষদের অন্যতম প্রধান একটি ক্যানসার। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় মতো চিহ্নিত করা গেলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাঁচানো যায় রোগীর প্রাণ। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক। বিশেষত, পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে কিংবা পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে নিতে হবে অতিরিক্ত সতর্কতা।
১। প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কিংবা প্রস্রাব পেলে ঠিক ভাবে মূত্রত্যাগ করতে না পারা এই রোগের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। পাশাপাশি, এই রোগে বড় হয়ে যেতে পারে প্রস্টেট গ্রন্থির আয়তনও।
২। বার বার প্রস্রাব পাওয়াও প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, রাতের দিকে বার বার মূত্রত্যাগের প্রবণতা দেখা যায় আক্রান্তের। প্রস্রাব ত্যাগের প্রবণতায় যে কোনও রকম পরিবর্তন এলেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
৩। মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা-যন্ত্রণা হওয়া ভাল লক্ষণ নয়। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হওয়াও এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘হিমাচুরিয়া’। এই ভাবে মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হলে বা মূত্রের রং লাল, গোলাপি কিংবা গাঢ় বাদামি হয়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।