মাশরুম-কফিটা আবার কী? ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকানো, ক্যাপুচিনো, লাতে থেকে ডালগোনা — কফির রকম ফের কম নয়। তবে, সমাজমাধ্যমে এখন নতুন ‘ট্রেন্ড’ হল মাশরুম কফি।
খাবার কিংবা পানীয় নিয়ে সর্বত্রই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে। কফিতে মাশরুম দেওয়ার চল খানিকটা তেমনই। পুষ্টিবিদরা বলছেন, অন্যান্য কফির চেয়ে এই মাশরুম কফির স্বাস্থ্যগুণ বেশি। তবে এমন কফি পান করতে বাজার থেকে সাধারণ মাশরুম কিনে, কেটে-ধুয়ে কফির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই হবে না। যে সব মাশরুমের ঔষধি গুণ রয়েছে, তার গুঁড়ো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কফি তৈরিতে সাধারণত এই গুঁড়োই ব্যবহার করা হয়।
মাশরুম কফি খাবেন কেন?
১. কফিতে যে ধরনের মাশরুম ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে ঔষধি গুণ বেশি। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বিশেষ ধরনের কফি।
২. বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য মাশরুম দেওয়া কফি ভাল। একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতেও এই কফির জুড়ি মেলা ভার।
৩. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে মাশরুম-কফির কদর রয়েছে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই কফি খাওয়া যেতে পারে।
৪. মাশরুম-কফির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এই উপাদানটি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও শরীরকে রক্ষা করে।
৫) মাশরুম-কফিতে প্রোবায়োটিক উপাদান বেশি। অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে এই কফি। হজম সংক্রান্ত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কী ভাবে তৈরি করবেন মাশরুম-কফি?
প্রথমে একটি পাত্রে জল বা দুধ ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন কফির গুঁড়ো। দুধ ফুটতে থাকুক। অন্য দিকে কফির কাপে আধ চা চামচ মাশরুম গুঁড়ো দিয়ে রাখুন। কফি ফুটে উঠলে কাপের মধ্যে ঢেলে নিন। ভাল করে মিশিয়ে নিলেই মাশরুম-কফি তৈরি। চাইলে অল্প চিনিও মিশিয়ে নিতে পারেন।