চুলকানির পালা মেটাবেন কী ভাবে? প্রতীকী ছবি।
অন্তর্বাস পরতে হচ্ছে। ঘামও কম হচ্ছে না। ঘামে ভেজা সেই অন্তর্বাস পরে কাজেকর্মে কাটাতে হচ্ছে দিনের বেশির ভাগ সময়। একটু যদি হাওয়া দেয়, অমনি চুলকোচ্ছে। রাস্তায়, লোকচক্ষুর সামনে কখনও কখনও অস্বস্তিতেও পড়তে হচ্ছে। জরুরি আলোচনাসভায় মন দিতে পারছেন না মোটে। তখন দিচ্ছেন জোর চিমটি। কিন্তু তাতেও শান্তি হচ্ছে না। সব চেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বাড়ি ফেরার পর। যেই না সারা দিন পরে থাকা পোশাক, অন্তর্বাস খুলে রাখলেন, ব্যস চুলকানির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল। এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। বাড়িতে আছেন বলে যখন তখন প্যান্টের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে চুলকে নিতে পারবেন, এমন নয়। অনেকেই আবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অহরহ গোপনাঙ্গে পাউডার মাখেন। সেই অভ্যাসও যে খুব ভাল, তা কিন্তু নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, উৎস না জেনে ঘরোয়া কোনও টোটকার উপর ভরসা করলে গোপনাঙ্গে চুলকানি কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে।
কী কী কীরণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) রেজ়ার ব্যবহার করলে
ঘাম জমে গোপনাঙ্গে অস্বস্তি হতে পারে, তাই অনেকেই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সেই অঞ্চলের রোম চেঁচে ফেলেন। রেজ়ার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানা থাকলে রোম চেঁচে ফেলার পর র্যাশ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় এই কারণেও কিন্তু চুলকানি হতে পারে।
২) ত্বকে সংক্রমণ
মহিলাদের ক্ষেত্রে শুধু অন্তর্বাস নয়, মাসের ক'টা দিন আবার ঋতুচক্রের সমস্যাও আছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন পরেও অনেক সময়ে এই ধরনের র্যাশ হতে পারে। ঘন রোমের মধ্যে লালচে এই র্যাশও চুলকানির কারণ হতে পারে।
৩) ছত্রাকের আক্রমণ
ঘাম এবং স্রাবের কারণে ভিজে যাওয়া অন্তর্বাস দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় যাকে ‘ইস্ট ইনফেকশন’ বলা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ পা মুড়ে থাকলে, পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে না পারলেও অনেক সময় এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।