তীব্র গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে তরমুজ কেটে ফল হিসেবে বা রস করেও খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
গরমে তো নানা রকম সুমিষ্ট, রসালো ফলের দেখা মেলে। তাদের মধ্যে তরমুজ অন্যতম। শরীরে জলের পাশাপাশি নানা ধরনের খনিজের ঘাটতি মেটাতে পারে তরমুজ। তাই গরমকালে বিভিন্ন রকম পানীয়ের মধ্যেও তরমুজ ব্যবহারের চল রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যে কোনও মরসুমেই ফল খাওয়া ভাল। তবে, তরমুজের উপকারিতা কিছুটা হলেও বেশি। তীব্র গরমে ঠান্ডা, শীতল পরশ দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে আরও অনেক উপকারে লাগে তরমুজ।
পরিমাণে অল্প হলেও প্রতি দিন কেন তরমুজ খেতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা?
১) পর্যাপ্ত লাইকোপেন
তরমুজের ভিতরের যে লালচে রং, তার উৎস হল এই লাইকোপেন। যা আসলে একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই লাইকোপেনের প্রভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার প্রতিরোধী হিসাবেও কাজ করে এই যৌগ।
২) হার্টের জন্য ভাল
তরমুজে রয়েছে ‘সিট্রালিন’। যা আসলে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা যায়।
৩) অস্থিসন্ধির যত্নে
গবেষণা বলছে, ‘বিটা-ক্রিপ্টোজ়াথিন’ নামক একটি যৌগ বিভিন্ন রকম প্রদাহ থেকে অস্থিসন্ধিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে এই ‘বিটা-ক্রিপ্টোজ়াথিন’ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৪) চোখের স্বাস্থ্য
চোখের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন এ-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এক টুকরো তরমুজ থেকে প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। চোখ ভাল রাখতে প্রতি দিন ওই পরিমাণ ভিটামিন এ শরীরে গেলেই যথেষ্ট।
৫) শর্করার মাত্রা বজায় রাখে
তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৮০, যা এক বাটি কর্নফ্লেক্সের সমান। অতএব তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট কম। ডায়াবিটিস রোগীরা মিষ্টিজাতীয় ফল খেতে ভয় পান। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফলের স্বাদ মিষ্টি হলেও তার গ্লাইসেমিক লোড ৫। যা রক্তে শর্করার উপর তেমন কোনও প্রভাবই ফেলে না।