হিমসাগর দিয়েই বানানো যায় বাহারি মিঠাই। ছবি: শাটারস্টক
গ্রীষ্মকাল অনেকের কাছেই পছন্দের ঋতু। গরম ভাল লাগে বলে নয়, আমের কারণে অনেকের পছন্দের মরসুম গ্রীষ্ম। এখন কলকাতার বাজারে বাজারে ঢুঁ মারলেই নাকে আসে মিঠে আমের গন্ধ। তবে অন্য আমের খুব বেশি দেখা নেই, বাজার ভরে গিয়েছে হিমসাগরে। কোথাও ২৫ টাকা কেজি, কোথাও আবার ওই আমই ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামের তোয়াক্কা না করেই এখন বাজারে গেলে থলিভর্তি আম আসছে। টাটকা আম শেষ হতে সময় না লাগলেও ফ্রিজে রাখতে রাখতে খানিকটা নরম হয়ে গেলে সেই আম কেউ খেতে চায় না। হিমসাগর দিয়ে মিষ্টির সুস্বাদু পদ বানিয়ে ফেলা যায়। রইল তেমনই কিছু রেসিপির হদিস।
ম্যাঙ্গো পুডিং
আম টুকরো করে কেটে নিয়ে তাতে চিনি আর সামান্য দুধ দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার একটি ননস্টিক কড়াইয়ে আমের মিশ্রণ নিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। একটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ারের মধ্যে জল মিশিয়ে নিন। এ বার কড়াইতে মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে মিশিয় নিন। মিনিট পাঁচেক পর ছোট ছোট কাচের বাটিতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ঘণ্টা দুয়েক পর বাটি থেকে বার করে উপরে ক্যারামেল সিরাপ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ম্যাঙ্গো পুডিং।
ম্যাঙ্গো ভাপা দই
আম টুকরো করে কেটে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। একটি পাত্রে জল ঝরানো টক দই, আমের মিশ্রণ, কনডেন্সন্ড মিল্ক দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার একটি স্টিলের টিফিনবাক্সে ভরে ৩০ মিনিট ভাপিয়ে নিন। তার পর ঠান্ডা করে তিনকোনা আকারে কেটে পরিবেশন করুন ম্যাঙ্গো দই।
আমের পাটিসাপটা
মিক্সিতে আমের পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি বড় পাত্রে সমপরিমাণ সুজি আর জল নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। মিশ্রণটির সঙ্গে আমের ক্বাথ মিশিয়ে নিন। এ বার ননস্টিক পাত্রে ছানা, গুঁড়ো দুধ আর চিনি মিশিয়ে শুকনো পুর বানিয়ে নিন। তার পর সুজি-আমের মিশ্রণ দিয়ে প্যানকেক বানিয়ে তার ভিতরে ছানার পুর দিয়ে পাটিসাপটার আকারে গড়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমের পাটিসাপটা।