হাঁটতে হবে, কিন্তু উল্টোদিকে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জিমে গিয়ে যন্ত্রপাতির সাহায্যে শরীরচর্চা বা যোগাসন, কোনওটাই পছন্দ নয়। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, ফিটনেস বজায় রাখতে আদি এবং অকৃত্রিম ব্যায়াম হাঁটার উপরেই ভরসা করেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল থেকে ওবেসিটি— সমস্ত কিছুর দাওয়াই হাঁটা। কিন্তু বেশ কিছু দিন হাঁটাহাটি করার পরেও আশানুরূপ ফল মেলে না অনেকের। অনেকেরই ধারণা নেই, কী ভাবে হাঁটলে এবং কতটা হাঁটলে তার প্রভাব শরীরে গিয়ে পড়তে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা প্রায়শই বলে থাকেন, কতটা হাঁটছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল কী ভাবে হাঁটছেন। সাধারণত হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই দস্তুর। কিন্তু শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও শরীরের সার্বিক উন্নতির জন্য পিছনে হাঁটার অভ্যাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পিছনে হাঁটা অভ্যাস করলে কী কী উপকার হতে পারে?
১) ক্যালোরি ঝরে
প্রশিক্ষকেরা বলছেন, সামনে হাঁটার অভ্যাস যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ায়, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব উল্টো দিকে হেঁটে।
২) মন ভাল রাখে
মাইলের পর মাইল হেঁটে যাওয়ার মধ্যে একঘেয়েমি আসা স্বাভাবিক। শরীরের সঙ্গে মনের গভীর যোগ রয়েছে। শরীরচর্চার সঙ্গে মন যদি ভাল না থাকে, সে ক্ষেত্রে ওজনে প্রভাব পড়বে না। উল্টো দিকে, হাঁটলে সেই একঘেয়েমি কাটতে পারে।
৩) পায়ের পেশি মজবুত করে
পায়ের পেশি মজবুত করতে ব্যায়াম যত না কাজ করে, তার চেয়ে দ্রুত কাজ করে উল্টো দিকে হাঁটা। শুধু পায়ের নয়, দেহের নিম্নাংশের সব পেশির নমনীয়তা বাড়িয়ে তোলে।
৪) দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে
উল্টো দিকে হাঁটলে দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে। অনেকেই ব্যালান্সের অভাবে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান। তাঁরা এই ভাবে হাঁটা অভ্যাস করলে উপকার পেতে পারেন।
৫) বিপাকহার উন্নত করে
ওজন ঝরানো থেকে সার্বিক ভাবে শরীরের উন্নতি সাধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল বিপাকহার। বিপাকহার উন্নত করতে অনেকেই নানা রকম পানীয় খেয়ে থাকেন। তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, পানীয়ের সঙ্গে উল্টো দিকে হাঁটা যোগ করলে তা আরও জোরদার ভাবে বিপাকহারকে প্রভাবিত করবে।