অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— জীবনে কখনও না কখনও উদ্বেগের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কে কী ভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন বা আদৌ দিতে পেরেছিলেন কি না, সে কথা জনসমক্ষে বলার সাহস থাকে না অনেকেরই। তবে অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সমাজমাধ্যমে প্রায়শই ‘আস্ক মি অ্যানিথিং’ সেশনের আয়োজন করেন তারকারা। যেখানে সাধারণ মানুষ তথা অনুরাগীরা সরাসরি প্রশ্ন রাখতে পারেন তাঁদের পছন্দের তারকাদের কাছে। তেমনই একটি সেশনে এসেছিলেন আলিয়া।
মা হওয়ার পর আলিয়ার প্রথম ছবি ‘রকি অঔর রানি কি প্রেম কহানি’ মুক্তি পেয়েছে কিছু দিন আগে। বিয়ে, মাতৃত্বের আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ছবি সফল হওয়ার সমস্ত উপকরণ থাকা সত্ত্বেও সেই ছবি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। ছবির সাফল্য শুধু অভিনয়ের উপর নির্ভর করে না। সে কথা জানেন অনেকেই। তবু দর্শকের চোখে তাঁর অভিনয় কোন উচ্চতায় পৌঁছবে তা নিয়ে অভিনেতা, অভিনেত্রীদের মনে সংশয়, ভয়, উদ্বেগ থাকে। আলিয়ারও উদ্বেগ হয়। তিনি জানান, “আমি দেখেছি এই সময়ে একটি টোটকা ভীষণ ভাবে কাজ করে। যখনই জীবনে এই ধরনের উদ্বেগ আসবে তখনই নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন সব ঠিক আছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজেকে শান্ত রেখে ওই সামাল দেওয়া এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। কারণ এই উদ্বেগও জীবনের একটি অঙ্গ।”
এ ছা়ড়া, আরও একটি টোটকা বাতলে দিয়েছেন আলিয়া। তিনি বলেন, “যখনই মনের মধ্যে এমন ভয়, আতঙ্ক দেখা দেবে, তখনই নিজের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের উপর মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অবশ্য তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। পছন্দের কোনও সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। গানও শোনা যেতে পারে। শুধু ওই নির্দিষ্ট সময়টুকু কাটিয়ে দিতে হবে। কারণ চিরকাল সময় এক রকম থাকে না।”
আলিয়ার ‘ফাইভ সেনসেস টেকনিক’ কী? উদ্বেগ কাটাতে তা কী ভাবে সাহায্য করে?
কোনও বিষয় নিয়ে ভয়, উদ্বেগ দেখা দিলে মনের মধ্যে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোনও ভাবেই থিতু হতে পারেন না আক্রান্ত ব্যক্তি। আশপাশে ঘটমান কোনও বিষয়েই তাঁর ধ্যানজ্ঞান থাকে না। কোনও কাজে মন দিতেও অসুবিধা হয়। মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন ভিড় করতে থাকে। কী হল, কী হতে পারে— এই সংক্রান্ত প্রশ্নের ভিড়ে উদ্বেগ আরও বাড়তে থাকে। ‘ফাইভ সেনসেস টেকনিক’ পদ্ধতি একেবারেই মনোস্তত্ত্ব ভিত্তিক। যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করে। চিকিৎসা পরিভাষায় এই পদ্ধতি ‘৫-৪-৩-২-১’ নামেও পরিচিত। শুধু উদ্বেগ নয়, মনের অনেক জটিল সমস্যাই কাটিয়ে ওঠা যায় এই পদ্ধতিতে।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন এই টেকনিক?
১) চোখের সামনে থাকা পাঁচটি জিনিস চিহ্নিত করতে হবে।
২) চারটে জিনিস ছুঁয়ে দেখতে হবে।
৩) ৩টি আলাদা আলাদা শব্দ চিনতে হবে।
৪) দুটি আলাদা জিনিসের গন্ধ নিতে হবে।
৫) নির্দিষ্ট কোনও একটি খাবারের স্বাদে মনোযোগ দিতে হবে।