কোলেস্টেরলের দাওয়াই রয়েছে ঘরেই। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, সকালের এই অভ্যাস বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে থাকার ভাল দাওয়াই হতে পারে। জীবনধারায় নানা প্রকার অনিয়ম, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না রাখা, শরীরচর্চায় অনীহা— এই সব কারণে শরীরে যে সব রোগ বাসা বাঁধতে পারে, তার ঝুঁকি কমাতে এক কোয়া রসুনের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।
প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জির গুণ অনেক। এর সঙ্গে থাকে ভিটামিন বি এবং সি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন। অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর রসুন খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিপাকহার একটু বেশি থাকে। তাই খালি পেটে এই সব্জি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রোজ সকালে রসুন খাওয়ার অভ্যাস কোন কোন রোগের হাত থেকে রেহাই দিতে পারে?
১) শীত বিদায় নিচ্ছে ধীরে ধীরে। এই সময় ঘরে ঘরে গলাব্যথা, সর্দিকাশি লেগেই থাকে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে রসুন। সাইনাসের সমস্যা, জ্বর, ফ্লু সারানোর জন্য চিকিৎসকেরা অনেক সময়েই রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন।
২) শীতের মরসুমে ঘন ঘন বিয়ের নিমন্ত্রণ, পার্টি, পিকনিকে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর ওজনের দিকে নজর রাখা একটু কঠিন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে চিন্তামুক্ত করতে পারে রসুন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় বিপাকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে রসুন। ওজন কমানোর জন্য রোজ সকালে কাঁচা রসুন আর মধু খেতেই পারেন।
৩) রসুন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও দূর করে। অনেক সময়েই শীতকালে সর্দির জন্য বা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সময়ে রসুন নিয়মিত খেলে ফুসফুসের জন্য তা খুবই কার্যকরী হতে পারে।
৪) রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তবাহ নালীর উপর রক্তের চাপও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক এই আনাজ। বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে রসুন।
৫) মহিলাদের ইস্ট্রোজ়েনের মাত্রা বাড়িয়ে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে পারে রসুন।