Signs of High Cholesterol

সিঁড়ি ওঠানামা করলেই পায়ে যন্ত্রণা হচ্ছে? কোলেস্টেরল বেড়েছে কি না ধরে ফেলুন ৫ উপসর্গ দেখে

শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে তার লক্ষণ ধরা পড়ে বিভিন্ন অঙ্গে। আগে থেকেই সাবধান হলে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কমানো যায় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। জেনে নিন, কোন উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক হবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৪
Why leg pain can be a sign of high cholesterol

পায়েও ফুটে ওঠে কোলেস্টেরলের লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে শুনলেই বেশির ভাগ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়! কোলেস্টেরল বাড়লেই যে হৃদ্‌রোগেরও ঝুঁকিও বেড়ে যায়! অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলিই একটা সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। শরীরে রক্ত চলাচল করতে বাধা পায়, শুরু হয় নানা সমস্যা। শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে তার লক্ষণ ধরা পড়ে বিভিন্ন অঙ্গে। আগে থেকেই সাবধান হলে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কমানো যায় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। জেনে নিন, কোন উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক হবেন।

Advertisement

ব্যায়ামের সময়ে কিংবা হাঁটাহাঁটি করার সময়ে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হতেই পারে। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ। দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালিত হয় ধমনীর মধ্য দিয়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ধমনীগুলির ভিতর ফ্যাটের আস্তরণ তৈরি হয়। একে ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস’ বলে। এই আস্তরণ তৈরির ফলে রক্ত চলাচলের পথ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। তৈরি হতে পারে ‘প্লাক’। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলিতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকে বলে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ় (পিএডি)। এই অসুখেই ব্যথা হয় পায়ের বিভিন্ন অংশে।

এ ছাড়া আর কী কী লক্ষণে সতর্ক হবেন?

১) পায়ের পাতা অবশ হয়ে যাওয়া।

২) পায়ে রক্ত চলাচল কম হওয়া।

Why leg pain can be a sign of high cholesterol

শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে তার লক্ষণ ধরা পড়ে বিভিন্ন অঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) পায়ের ত্বকের রং বদলে যাওয়া।

৪) পায়ের নখের বৃদ্ধি কমে যাওয়া।

৫) পায়ের পাতা, গোড়ালিতে ঘা হওয়া।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা জরুরি। রোজের জীবনধারাতেও কিছু কিছু বদল আনা জরুরি। খাওয়াদাওয়াতেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। এক বার এই রোগ ধরা পড়লে নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।

আরও পড়ুন
Advertisement