চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে এক দিন হলেও হেনা করা উচিত। ছবি- সংগৃহীত
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন অনেকেই। কিন্তু চুলের যত্নে কি একই সময় ব্যয় করেন? কেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি দিন শ্যাম্পু করা মানেই চুলের যত্ন নেওয়া নয়। চুল ভাল রাখতে সিরামও ব্যবহার করে থাকেন কেউ কেউ। তাতে সাময়িক ভাবে চুল ভাল থাকলেও চুলের যত্নের শেষ কথা নয়। অনেকেই বুঝতে পারেন না, আসলে চুলের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় কোনটি। কেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে এক দিন হলেও হেনা করা উচিত। এত কিছু ছেড়ে কেন চুলের যত্নে হেনাকেই এগিয়ে রাখছেন তাঁরা?
১) প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে
রোজের ধুলো-দূষণে চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায়। চুল কোমল মসৃণ করতে আমরা কত কিছুই না করি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার— চেষ্টার কোনও খামতি রাখেন না কেউই। এতে হয়তো প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তা ছাড়া রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এই সব প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে তাই হেনা করার পরামর্শ দিচ্ছেন কেশ বিশেষজ্ঞরা। ঘরোয়া বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই হেনা তৈরি করে নিতে বলছেন। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না।
২) চুলের গোড়া শক্ত করতে
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। মাথার চেয়ে মাটিতে চুল থাকছে বেশি। আসলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি হ্রাস পেলে এমন সমস্যায় ভুগতে হয়। বাইরে থেকে চুল চকচকে, মসৃণ হলেও চুলের গোড়া মজবুত আছে কি না, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। কিন্তু কী ভাবে? শ্যাম্পু, সিরামের বদলে এ ক্ষেত্রে হেনা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন হেনা করলে চুলের পুষ্টি ফিরে আসবে। চুল ভিতর থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। চুল পড়ার পরিমাণও ধীরে ধীরে কমবে।
৩) খুশকি প্রতিরোধে
অতিরিক্ত চুল ঝরার আরও একটি কারণ হল খুশকি। চুল পড়ার সমস্যা আটকাতে তাই সবার আগে খুশকি কমানো প্রয়োজন। তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। ‘অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু’ও ব্যবহার করে থাকেন। তার পরেও দেখা যায় বর্ষা বা শীতকাল আসতেই খুশকিতে ভরে যায় মাথা। এর অন্যতম একটি সমাধান হতে পারে হেনা। প্রতি দিন হেনা করা সম্ভব নয়। করা ঠিকও নয়। ১৫ দিনে অন্তত দু’বার করে হেনা করলে ভাল। শুধু খুশকি নয়, চুলের অন্যান্য সমস্যার অস্ত্র হতে পারে হেনা।