শুধু মাথার চুলই নয়, ভুরু, চোখের পলক এমনকি, যৌনাঙ্গের কেশও প্রতিস্থাপন সম্ভব। ছবি : সংগৃহীত
মাথায় টাকের পরিধি যত বিস্তৃত হয়, ততই নাকি পকেটের ওজন বাড়তে থাকে। তা সে টাকা যতই থাকুক, টাক নিয়ে মানুষের মনে হীনমন্যতার শেষ নেই। মাথায় চুলের ঘনত্ব বেশি দেখানোর জন্য অনেকেই নানা রকম পন্থা অবলম্বন করেন। কিন্তু চুল একেবারেই না থাকলে তখন পরচুলার উপরই ভরসা করতে হয়। ইদানীং চুল প্রতিস্থাপনের কথা শুনলেও, নিজের মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করা নিয়ে এখনও ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেন নি।
চুল প্রতিস্থাপন কী ভাবে করা হয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, যেখানে চুলের আধিক্য রয়েছে সেখান থেকে ফলিক্ল ও চুলের গোড়া সংগ্রহ করে, মাথার যেখানে চুল নেই অঞ্চলে প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিই হল ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’। অল্প কয়েক ঘণ্টার এই পদ্ধতিতে শুধু মাথার চুলই নয়, ভুরু, চোখের পলক এমনকি, যৌনাঙ্গের কেশও প্রতিস্থাপন সম্ভব। প্রতিস্থাপন সফল হলে প্রাকৃতিক চুলের সঙ্গে কোনও তফাতই থাকে না। প্রতিস্থাপিত চুলের বৃদ্ধিও হয় সাধারণ চুলের মতোই। কাজেই পরবর্তী কালে চুল কাটতেও সমস্যা হয় না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে এই পদ্ধতি কি আদৌ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন?
চিকিৎসকরা বলছেন, এ কথা ঠিক যে, চুল প্রতিস্থাপনও কিন্তু এক ধরনের অস্ত্রোপচার। তবে তা সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন। আর পাঁচটি অস্ত্রোপচারের মতো এই পদ্ধতির পরেও সংক্রমণ আটকাতে খেতে হয় অ্যান্টিবায়োটিক। প্রদাহের জন্যও খেতে হতে পারে ব্যথা কমানোর ওষুধ। অস্ত্রোপচারের পর সপ্তাহ তিনেক সরাসরি ধুলো-বালি, রোদ, জল লাগানো চলে না। বন্ধ রাখতে হয় কঠোর শরীরচর্চা। অন্তত মাস খানেক ব্যবহার করা যায় না কোনও ধরনের রাসায়নিক প্রসাধনী। প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষই এই উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
তবে প্রতিস্থাপন করার আগে এবং পরে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে নানা রকম সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।