পেটখারাপ হলে একেবারেই কী কী খাবেন না। ছবি: ফ্রিপিক।
ভ্যাপসা গরমের পরেই বৃষ্টি নেমেছে। বঙ্গে বর্ষা চলে এলেও গরম যে খুব কমেছে তা নয়। বরং ভ্যাপসা গুমোট গরম আছেই। আর এই খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্যই পেটের যত সমস্যা হচ্ছে। বদহজম, পেটখারাপ লেগেই আছে। খিদে নেই। কিছু খেলেই বমি ভাব। কেন এমন হচ্ছে তার কারণও আছে। এক দিন একটু জোরে বৃষ্টি নামল কি নামল না, সঙ্গে সঙ্গে একগাদা তেলেভাজা খেয়ে ফেললেন। আর মেঘলা দিন হলে তো কথাই নেই। হয় বাড়িতেই জমিয়ে হবে ভূরিভোজ, না হলে ফটাফট রেস্তরাঁয় পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে দেবেন। ঋতুবদলের এই সময়টাতে বিভিন্ন রকম ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। খাবার, জল থেকে সংক্রামক রোগও ছড়ায়। তাই এই সময়টাতে খাওয়াদাওয়ায় একটু নজর দিতেই হবে।
সুস্থ থাকতে কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন?
বেশি ভাজাভুজি নয়
বাড়িতে কম মশলায় রান্না করা খাবারই ভাল। না হলে রেস্তরাঁ থেকে কেনা খাবার এই সময়ে বেশি না খাওয়াই ভাল। বৃষ্টি হলেই ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার না খেয়ে বরং হালকা কিছু স্ন্যাকস খেতে পারেন। বেশি মশলা দেওয়া খাবার এই সময় খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়বে। বর্ষার এই সময়টাতে সালমোনেলা, ক্লসট্রিডিয়াম, স্ট্যাফাইলোকক্কাস জাতীয় সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। খাবার বা জল থেকে এইসব ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হয় শরীরে। সে কারণেই পেটের গোলমাল হয়। তাই রাস্তা থেকে কেনা খাবার, কাটা ফল, শরবত ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল।
গপাগপ মিষ্টি খাচ্ছেন?
পেটের গোলমাল লেগে থাকলে মিষ্টিটা বরং কমই খান। বিশেষ করে ভাজা মিষ্টি তো একদমই নয়। আপনি ভাবলেন ওষুধ খেয়ে নিয়ে ক’টা মুচমুচে জিলিপি খেয়েই নেবেন। কিন্তু তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। এমনিতেও পেটখারাপ হলে যখন অন্যান্য খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়, তখন মিষ্টির জন্যই মনটা ছোঁক ছোঁক করে। আর জানেন তো, অতিরিক্ত চিনি মানুষের শরীরের জন্য বিষ। তাই শুধু মিষ্টি নয়, মিষ্টি জাতীয় যে কোনও খাবারই এড়িয়ে চলাই ভাল।
চা-কফিটা না হয় বাদই দিন
পেটখারাপের সময়ে পর্যাপ্ত জল খেতেই হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওআরএস খান। এই সময় শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে খুব মুশকিল। কিন্তু তাই বলে ঘন ঘন চা বা কফিতে চুমুক দেবেন না। ক্যাফিন পেটে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে।
লোভ হলেও আইসক্রিম নয়
ডায়েরিয়ার সময় আইসক্রিম ছুঁয়েও দেখবেন না। সে যতই লোভ হোক। আইসক্রিম বেশি খেলে হজম তো হবেই না, উল্টে সমস্যা আরও বাড়বে।
দুধ খাবেন না
দুধকে সুষম খাবারই বলেন পুষ্টিবিদেরা। দুধ খেলে শরীরে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, খনিজের ঘাটতি মেটে। কিন্তু পেটখারাপের সময়ে দুধ না খাওয়াই পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ দুধের ল্যাক্টোজ সহজে হজম হতে চায় না। পেটখারাপের সময়ে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে সমস্য আরও বাড়ে।