জরায়ু-মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকার উদ্যোগ, বাজেটে বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। — ফাইল চিত্র।
জরায়ু-মুখের (সারভাইকাল) ক্যানসার প্রতিরোধে উদ্যোগী হবে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, ‘‘তার জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।’’ কবে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে তা অবশ্য নির্মলা বলেননি। তবে তাঁর ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে জরায়ু-মুখের ক্যানসার ভারতের ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ। সেই কারণেই এইচপিভি টিকা কর্মসূচি নিতে চায় কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ভারতে মহিলাদের যে ধরনের ক্যানসার বেশি হয়, তার মধ্যে এই জরায়ু-মুখের ক্যানসার দ্বিতীয় স্থানে। দেশে প্রতি বছর অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। বছরে কমপক্ষে ৭৭ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা বলেন, অল্প বয়সেই টিকা দিলে এই ক্যানসারের সম্ভাবনা কমানো যায়। সেই কারণেই টিকা কর্মসূচি শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিন বছরের জন্য তিন দফায় এই কর্মসূচি চালানো হবে। অন্তত সাত কোটি টিকার জোগাড় হলেই কর্মসূচি শুরু হবে।
বেসরকারি টিকা অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে। এক বছর আগেই সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া সের্ভাভ্যাক নামে একটি এইচপিভি টিকা বাজারে আনে। যার দু’টি ডোজ়ের দাম চার হাজার টাকার মতো। এ ছাড়াও আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা মার্ক-এর তৈরি গার্ডাসিল নামে একটি এইচপিভি টিকা ভারতে পাওয়া যায়। এর এক একটি ডোজ়ের দাম ১০ হাজার ৮৫০ টাকা।
বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যানসার হয়। এই ভাইরাসকে আটকানোর টিকা নিলে এবং প্রতিরোধবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই রোগটিকে নির্মূলও করা যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, আমাদের দেশে সারভাইক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা ভীষণ জরুরি। কারণ, বিশ্বে এই অসুখে যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের ২৫ শতাংশই ভারতের। সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সিরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স ৬০ পেরোলেও এটি হতে পারে, তবে সেই সংখ্যা তুলনামূলক কম।