Side-effects of Peanut

মদ্যপানের চাট কিংবা অফিসের স্ন্যাকস, বাদামই পছন্দ? কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন?

চিনেবাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। ওজন ঝরানোর ডায়েটে সব পুষ্টিবিদই বাদাম রাখার কথা বলেন। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে উল্টো ফলও হতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২৪
সন্ধ্যাবেলা নেটফ্লিক্স দেখতে দেখতেও চিপসের বদলে বাদামের চাট খাচ্ছেন।

সন্ধ্যাবেলা নেটফ্লিক্স দেখতে দেখতেও চিপসের বদলে বাদামের চাট খাচ্ছেন। প্রতীকী ছবি।

রোগা হবেন বলে হেঁশেল থেকে যাবতীয় কেক-বিস্কুট-চিপ্‌স-কুকিজ় সরিয়ে রেখেছেন শতাব্দী! ফ্রিজেও চিজ়, মাখন রাখার বালাই নেই। পুষ্টিবিদের কড়া নির্দেশ, বাড়িতে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে। যাতে খিদের মুখে শুধু সেগুলিই খাওয়া হয়, তাতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কমে। অফিসেই হোক বা বাড়িতে, হালকা খিদে পেলেই তাই মুঠো মুঠো চিনেবাদাম খেতেন শতাব্দী। কিন্তু এক মাস এ ভাবে কাটার পর হঠাৎ ওজন মেপে তাঁর চোখ কপালে। ওজন তো কমেইনি, বরং দু’কেজি মতো বেড়ে গিয়েছে! শতাব্দীর মনমেজাজ খারাপ। ভাবলেন পুষ্টিবিদের ডায়েট প্ল্যানেই বুঝি গোলমাল আছে। নতুন পুষ্টিবিদ তাঁর দৈনন্দিন খাবারের তালিকা শুনে বুঝলেন, গোলমালটা কোথায়। সারা দিনে যখনই খিদে পায়, তিনি মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে নেন। সকালে জলখাবারে পাউরুটির উপরেও পিনাট বাটার লাগিয়ে খান। সন্ধ্যাবেলা নেটফ্লিক্স দেখতে দেখতেও চিপসের বদলে বাদামের চাট খাচ্ছেন। তাতেই হয়েছে গোলমাল। এতটা বাদাম রোজ শরীরে যাওয়ায় ওজন গিয়েছে বেড়ে।

Advertisement
চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে, যা শরীরে জমা হয় ফাইটেট হিসাবে।

চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে, যা শরীরে জমা হয় ফাইটেট হিসাবে। ছবি: সংগৃহীত।

চিনেবাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। ওজন ঝরানোর ডায়েটে সব পুষ্টিবিদরাই বাদাম রাখার কথা বলেন। এতে নানা রকম খনিজ, প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ‘গুড ফ্যাট’। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে উল্টো ফলও হতে পারে। যেমন—

১) চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে যা শরীরে জমা হয় ফাইটেট হিসাবে। কিন্তু খুব বেশি ফাইটেট শরীরে গিয়ে জমতে শুরু করলে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো কিছু জরুরি খনিজ শরীর শোষণ করতে পারে না। দীর্ঘ দিন এ ভাবে চললে শরীরে জরুরি পুষ্টির অভাব হতে পারে।

২) হালকা খিদে পেলে কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিলেই দ্রুত স্ফূর্তি জোগায়। সস্তায় পুষ্টিকর খাবারের ভাল উৎস। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরিও থাকে। ফলে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

৩) যাঁদের বাদামে অ্যালার্জি, তাঁরা কম পরিমাণে খেলেও শরীরে নানা রকম গোলমাল দেখে দিতে পারে। সেগুলি কখনও কখনও ভয়ঙ্করও হয়ে উঠতে পারে। তাই বাদাম খাওয়ার আগে বুঝে নিতে হবে আপনার তেমন কোনও সমস্যা হতে পারে কি না।

৪) বাদামে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে। তাই নিয়মিত মুঠো মুঠো বাদাম খেতে থাকলে পেটের গোলমাল হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, গ্যাস— নানা সমস্যার কারণ হতে পারে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস।

৫) যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বাদাম খাওয়া উচিত। বাদামে থাকা ফ্যাটের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement