টক দইয়ের সঙ্গে কুমড়ো বীজ খেয়েছেন কখনও? ছবি: সংগৃহীত।
পেটের গোলমাল খানিকটা সামলানো গিয়েছে টক দই খাওয়ার অভ্যাসে। পুষ্টিবিদের পরামর্শে নানা রকম বীজও খেতে শুরু করেছেন। অল্প খিদে পেলে বাইরে থেকে কেনা মুখরোচক খাবার না খেয়ে বিভিন্ন রকম বীজ খাওয়াই যায়। তবে এক সহকর্মীর পরামর্শে সাত-পাঁচ না ভেবে টক দই এবং কুমড়ো বীজ, একসঙ্গে খেতে শুরু করেছেন। খেতে তেমন ভাল না লাগলেও শুনেছেন অনেক উপকার হবে। কী হবে এই খাবার খেলে?
১) অন্ত্র ভাল থাকে:
টক দই হল প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার। এই প্রোবায়োটিক অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে রয়েছে ফাইবার। এই দুই উপাদান একত্রে খাবার হজম করতেও সাহায্য করে। পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও নিরাময় করে।
২) ওজন ঝরায়:
ফাইবারের পাশাপাশি টক দই এবং কুমড়োর বীজ— এই দু’টি খাবারের মধ্যেই রয়েছে প্রোটিন। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে প্রোটিনের ভূমিকা যথেষ্ট। বিপাকহার বা মেটাবলিক রেট ভাল হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩) রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে:
এমনিতেই প্রোবায়োটিক রোগ প্রতিরোধী। পাশাপাশি, কুমড়োর বীজে রয়েছে জ়িঙ্ক। যা রোগ প্রতিরোধী কোষের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত কোনও রোগ চট করে আক্রমণ করতে পারে না।
৪) হাড় মজবুত করে:
হাড়ের জোর বাড়়িয়ে তুলতে গেলে তার ঘনত্ব ভাল হওয়া প্রয়োজন। টক দই এবং কুমড়ো বীজ, এই দুই উপাদানে ক্যালশিয়াম যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে প্রোটিনও। পাশাপাশি, জ়িঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কুমড়ো বীজে। হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই সব উপাদান জরুরি।
৫) অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দূর করে:
কুমড়ো বীজে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক একটি উপাদান। যা সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন বি-এর সঙ্গে এই এই ট্রিপটোফ্যান খেলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে টক দইয়ের সঙ্গে কুমড়ো বীজ খাওয়া প্রয়োজন।
কী ভাবে খাবেন?
ছোট একটি পাত্রে টক দই নিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কুমড়ো বীজ। স্বাদের জন্য তার মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু বা মেপ্ল সিরাপ। বিভিন্ন ফলের কুচি মিশিয়ে নিলেও খেতে মন্দ লাগবে না।