সমীক্ষা জানাচ্ছে, অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার খানিকটা বেশি। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের হার ক্রমশ বাড়ছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে হানা দিচ্ছে কর্কট রোগ। সমীক্ষা জানাচ্ছে, অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার খানিকটা বেশি। শরীরের এই অংশে ক্যানসার হলে সহজে তা চিহ্নিত করা যায় না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ। তবে জন্ডিস হলে কেউই প্রাথমিক ভাবে ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে চট করে এই রোগ ধরা যায় না। যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। এই ক্যানসার মূলত ছড়ায় ফুসফুস আর যকৃতে।
‘ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর মতে, স্থূলতা, ডায়াবিটিসের সমস্যা, দীর্ঘ দিনের ধূমপানের অভ্যাস এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধল কি না, তা বুঝতে এই ক্যানসারের লক্ষণগুলি জেনে রাখা জরুরি।
জন্ডিস
ঘন ঘন জন্ডিসে আক্রান্ত হলে সেটি মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হওয়া জরুরি। বার বার ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘ দিন জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে গেলেও সতর্ক হতে হবে।
পেটে অসহ্য যন্ত্রণা
ক্যানসার ধরা পড়ার আগে যে লক্ষণগুলি নিয়ে রোগী চিকিৎসকের কাছে যান, পেটে ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। তীব্র পেটের়় যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কিছু খাওয়ার পর বা শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
ঘন ঘন বদহজম
খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলে বদহজমের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ। তবে এই সমস্যা সাময়িক। যদি দেখেন ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝে এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। বদহজমও কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। এই প্রকার ক্যানসারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় অরুচি, সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব— এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হয়।