সর্দি-কাশি তো রয়েছেই, সঙ্গে দোসর হয়েছে গলাব্যথা। প্রতীকী ছবি।
শীত কি বিদায় নিল রাজ্য থেকে? আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনে। নয়তো অফিস যাওয়ার সময়ে ঠান্ডা লাগছে। আবার ট্রাম, বাস, মেট্রো করে অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই হাত চলে যাচ্ছে ফ্যানের সুইচে। কপালে ঘাম জমছে বিন্দু বিন্দু। ঠান্ডা আর গরমের দোলাচলে প্রভাব পড়ছে শরীরের উপর। সর্দি-কাশি তো রয়েছেই, সঙ্গে দোসর হয়েছে গলাব্যথা। এক বার গলাব্যথা হলে সহজে তা কমতে চায় না। ঘরোয়া টোটকা থেকে ওষুধ— কোনও কিছুই চটজলদি কাজে আসে না। গলাব্যথা হওয়া প্রচণ্ড অস্বস্তির। ঠিক করে খাবার খাওয়া যায় না, ভাল করে কথা বলা যায় না। তবে এই গলাব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। গলাব্যথা হলে কী ভাবে ব্যবহার করবেন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার?
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং মধু
ঠান্ডা লাগলে দ্রুত সুস্থ হয়ে মধু খুবই কার্যকর। অনেকেই তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। তবে গলাব্যথা হলে তুলসীর বদলে মধু খেতে পারেন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে মিশিয়ে। এক কাপ গরম জলে ২ টেবিল চামচ ভিনিগার, ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। পর পর দু’দিন খেলেই মিলবে উপকার।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং বেকিং সোডা
রান্নার কাজে কিংবা ঘরবাড়ি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বেকিং সোডা দারুণ কার্যকরী। তবে গলাব্যথা কমাতেও কিন্তু বেকিং সো়ডার জুড়ি মেলা ভার। এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ বেকিং সোডা আর অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। সারা দিনে দু’-তিন বার গার্গল করুন। গলাব্যথা কমাতে যাবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এবং পাতিলেবুর রস
দু’টিই শরীরের যত্ন নিতে দারুণ উপকারী। গ্যাসের সমস্যা থেকে হজমশক্তি উন্নত করা— সবেতেই লেবু বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গলাব্যথা হলেও তাই ভরসা রাখতে পারেন লেবুর উপর। এক গ্লাস গরম জলে ১ চা চামচ লেবুর রস আর অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। সারা দিন দু’-তিন বার এই পানীয় খেলে কমবে গলাব্যথা।