— প্রতীকী ছবি।
পেটুক বলে খ্যাতি নেই। কিন্তু হঠাৎ কিছু খাবার দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না! হয়তো রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে কাউকে আইসক্রিম খেতে দেখলেন, ব্যস, হয়ে গেল! তখনই চাই। মধ্যরাতে হঠাৎ ফ্রিজ় খুলে তন্ন তন্ন করে মিষ্টির খোঁজ করেন। আবার, অসময়ে হঠৎ মাংসের কোনও পদও খেতে ইচ্ছে করে খুব! এমন স্বভাব অনেকেরই। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা বলছেন, খাবারের প্রতি লোভ নয়, এই ধরনের উপসর্গ রক্তে কোনও না কোনও খনিজ বা ভিটামিনের অভাবের ইঙ্গিত বহন করে।
কোন খাবারের প্রতি দুর্বলতা কিসের ইঙ্গিত দেয়?
১. চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছে হলে বুঝতে হবে, রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে। এই উপাদানটি শরীরে শক্তির উৎস হিসাবে পরিচিত। মনমেজাজ ভাল রাখা এবং পেশির কাজকর্ম ঠিক রাখতে ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘জার্নাল অফ আমেরিকান কলেজ অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই খনিজটির ঘাটতি চকোলেট খাওয়ার ঝোঁক বাড়িয়ে তোলে।
২. রক্তে সোডিয়ামের অভাব হলে নোনতা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। সোডিয়ামের অভাবে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মস্তিষ্ক নিজে থেকেই সেই অভাব পূরণের ইঙ্গিত দেয়। তাই নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছে করে। রক্তচাপ এবং পেশির কাজকর্ম সচল রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
৩. সন্দেশ, রসগোল্লা কিংবা কাজু বরফি দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে? কেক, পেস্ট্রিও বাদ যাচ্ছে না। এটি রক্তে ক্রোমিয়াম, কার্বন, ফসফরাস, সালফার এবং ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদানের অভাবেও হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে ক্রোমিয়াম। রক্তে এই খনিজগুলির ঘাটতি হলেই মস্তিষ্ক তা পূরণ করার ইঙ্গিত দেয়।
৪. ভাত, রুটি, লুচি, পরোটার মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার ঝোঁক বেশি থাকলে বুঝতে হবে তার সঙ্গে নাইট্রোজেনের সম্পর্ক রয়েছে। নাইট্রোজেন শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড সিন্থেসিসে বা সংশ্লেষণে সাহায্য করে।
৫. ঘুম থেকে উঠেই মাংসের কোনও পদ খেতে ইচ্ছে করছে? তার ইঙ্গিত রক্তে আয়রনের ঘাটতি। ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকে, তাঁদের মধ্যে মাংস খাওয়ার প্রবণতা বেশি।