Cholestero Problem

কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে? সমস্যা বাড়তে দিলে বিপদ! ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ৫ কৌশল মেনে চলুন

কোলেস্টেরলের রোগীরা নিয়ম করে ওষুধ তো খাবেনই, সঙ্গে জীবনযাপনে কিছু বদল আনুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৪ ১৪:২৯
কোলেস্টেরল কমানোর হদিস।

কোলেস্টেরল কমানোর হদিস। ছবি: সংগৃহীত।

তারুণ্যে হোক কিংবা প্রৌঢ়ত্বে— কোলেস্টেরল বাড়তে পারে যে কোনও সময়। বয়স কম বলে অনিয়ম করলেও কোলেস্টেরল ছুঁতে পারবে না, এই ধারণা মন থেকে মুছে ফেলা জরুরি। অত্যধিক হারে বাইরের খাবার খাওয়া, তেল-মশলা, চর্বি জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক, শরীরচর্চা না করা— এই কারণগুলির জন্য কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে।

Advertisement

এক বার কোলেস্টেরল ধরা পড়লে প্রথম থেকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই সমস্যা যদি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়, তা হলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কোলেস্টেরলের রোগীদের নিজেদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়ম করে রোজ ওষুধ খাবেন তো বটেই, সঙ্গে জীবনযাপনে কিছু বদল আনুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

শরীরচর্চা

দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হলেও কোলেস্টেরল রোগীদের উচিত অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা। জিমে না গেলেও চলবে। বা়ড়িতেই কিছু যোগাসন করতে পারেন। সাইকেল চালালেও উপকার পাবেন।

লেবু জল

ইষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে কিছু দিন খেয়ে দেখতে পারেন। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই পানীয় খেয়ে দিন শুরু করলে শুধু কোলেস্টেরল নয়, আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমে।

গ্রিন টি

লিকার চা খান? দীর্ঘ দিন কোলেস্টেরল পিছু ধাওয়া করলে মাঝেমাঝে গ্রিন টি খেতে পারেন। ওজন ঝরাতে গ্রিন টি-এর জাদু কমবেশি সকলেই জানেন। কোলেস্টেরলকে কব্জা করতেও কম ‘খেল’ দেখায় না গ্রিন টি। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর জলখাবার

কোলেস্টেরল একেবারে কমে গেলে তখন ইচ্ছে মতো খাওয়াদাওয়া করতেই পারবেন। কিন্তু তার জন্য দ্রুত কোলেস্টেরলের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে হবে। তাই ইচ্ছে করলেও সকালের জলখাবারে লুচি-পরোটার বদলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এ ক্ষেত্রে বাদাম, ফল, স্মুদি (এক ধরনের পানীয়), ডালিয়া শরীরের যত্ন নেবে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন

চিজ় দেওয়া পিৎজ়া, বার্গার, হট ডগ খেতে কার না ভাল লাগে ! কিন্তু কোলেস্টেরল থাকলে এগুলি খাওয়া কমাতে হবে। খুব ভাল হয়, যদি একেবারে বন্ধ করে দেন। সেটা অসম্ভব হলে মাসে এক বার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কখনওই দিনের শুরুতে নয়। তা হলেই বিপদ।

আরও পড়ুন
Advertisement