শিশুকে ডায়াপার পরানোর আগে নিয়ম জেনে নিন বাবা-মায়েরা। ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা ভোগায় অনেক শিশুকেই। সর্দিকাশি তো বটেই, ত্বকেও র্যাশ, চুলকানি হতে পারে। এই সময়ে একটানা বেশি ক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখলেও র্যাশ হতে পারে শিশুর।
বেশির ভাগ অভিভাবক মনে করেন, শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখার মানেই অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা। তাই বাইরে বেরিয়ে বা সারা দিন পরিশ্রমের পর রাতে একটু নিশ্চিন্তে বিশ্রামের কারণে অনেক মা-বাবাই প্রায় তিন বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময়, নিয়ম ও পদ্ধতি না জানার কারণে শিশুর অস্বস্তি তো হয়ই, তা ছাড়া তার ত্বকেও প্রদাহ হয়। ডায়াপারের ভুল ব্যবহারের জেরে শিশুর ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সঠিক নিয়ম জেনেই ডায়াপার পরানো উচিত। কত ক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখা যাবে, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।
কী কী খেয়াল রাখবেন বাবা-মায়েরা?
ডায়াপার পরাতেই হবে এমন ভাবনা যেন না থাকে।
কাছাকাছি কোথাও গেলে ডায়াপার পরানোর দরকার নেই।
নেহাত খুব সমস্যা না থাকলে ডায়াপার ছাড়াই রাখুন শিশুকে, এতেই ভাল থাকবে শিশু।
ডায়াপার কেনার আগে অবশ্যই ভাল করে দেখে নিন এর কাপড়, কথা বলে নিন চিকিৎসকের সঙ্গে।
নরম সুতির কাপড়ের ডায়াপারই কিনবেন।
বাইরে বেরোনোর সময়ে ডায়াপার পরালে, কিছু সময় অন্তর তা পরীক্ষা করুন।
ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডায়াপার বদলে দিন।
কী কী করবেন না?
সুতির কাপড় ছাড়া অন্য কাপড়ের ডায়াপার পরাবেন না। অন্য ধরনের কাপড়ে ঘসা লেগে শিশুর ত্বক লালচে হয়ে যায়।
রাতভর শিশুকে ডায়াপার পরাবেন না। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
১২-১৪ ঘণ্টা ডায়াপার পরিয়ে রাখেন অনেক অভিভাবকই, এতে ত্বকে ঘষা লেগে র্যাশ, অ্যালার্জি হয়। ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যায়, জ্বালা করে শিশুর।
রাতে এমনিতেই শিশুরা মূত্র বেশি ত্যাগ করে। সারা রাত ওই ভিজে অবস্থায় শুয়ে থাকলে শিশুর ত্বকে ভেজা ভাব থেকে র্যাশ বেরোয়। তা থেকে ঠান্ডাও লাগে প্রায়ই। তা ছাড়া মল-মূত্র দীর্ঘ ক্ষণ শরীরে লেগে থাকলে তা থেকে সংক্রমণও হতে পারে।