বিশেষ করে হাঁপানির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, এই সময়ে তাঁরা খুবই সমস্যায় পড়েন। প্রতীকী ছবি।
চলতি মাসের শুরু থেকেই জাঁকিয়ে বসেছে ঠান্ডা। শীতের কনকনে হাওয়া কাঁপন ধরছে শরীরে। সকালে রোদের কিছুটা তেজ থাকলেও রাত বাড়লে বাতাসে একটা হিমেল আমেজ। ঠান্ডার সঙ্গে সঙ্গে জাঁকিয়ে বসছে কিছু মরসুমি অসুখ-বিসুখও। বিশেষ করে হাঁপানির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, এই সময়ে তাঁরা খুবই সমস্যায় পড়েন। চিকিৎসকদের মতে, হাঁপানির সমস্যাকে বংশগত রোগ বলে অনেকে মনে করলেও, আসলে দূষণের জেরে অ্যালার্জির কারণেও এই অসুখে আক্রান্ত হন বেশির ভাগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মত অনুযায়ী, গোটা দেশে প্রায় কয়েক কোটি ভারতীয় ‘ব্রঙ্কায়াল অ্যাজ়মা’-এ আক্রান্ত। সাধারণ এই সমস্যা বাড়ে শ্বাসনালীর প্রদাহের ফলে। এই অসুখে ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথগুলি সরু হয়ে ফুলে যায়। সেই পথে জমতে থাকে মিউকাস। ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
ফুসফুসের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অসুখে শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকের মধ্যে একটা আওয়াজ হতে থাকে। রাত হলে বাড়ে কাশির দমকও। সেই সঙ্গে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, শরীর ঘেমে যাওয়া, বুক কফ জমার মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। তবে কিছু বিষয়ে সচেতন না হলে এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কুয়াশা, ধোঁয়া, ধুলো, বিশেষ কোনও গন্ধের সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। এই অসুখ সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও বিশেষ কিছু নিয়মে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিয়ম মেনে চলাই সুস্থ থাকার একমাত্র পথ। খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল।
অ্যালার্জি রয়েছে, এমন খাবার নৈব নৈব চ। খাবার থেকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াবাড়ি রকম রূপ নিতে পারে।
অফিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে অবশ্যই কান-মাথা চাদরে ঢেকে বসুন। গায়ে একটা পাতলা চাদর রাখুন। শীতে ঘুমোনোর সময়েও নিজেকে লেপ কিংবা কম্বলে ভাল করে জড়িয়ে রাখুন। ঘাম হতে দেবেন না একেবারেই। হাতের কাছে ইনহেলার রাখুন। যখন তখন কাজে আসতে পারে। ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা দই একেবারে খাবেন না। বরং গরম গরম স্যুপ খেতে পারেন। যে খাবারই খাবেন, তা গরম করে খান। হাঁপানির সমস্যা থাকলে ঠান্ডা খাবার ভুলেও খাবেন না।