উপোসের দিন কোন ভুল ভুলেও করবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজোর দিন অনেকেই উপোস করেন। এই পুজো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘায়িত হয় উপোসের সময়। রাত জেগে পুজোর ধকল, পুজোশেষে প্রবল খিদের চোটে কেউ বেশি খেয়ে ফেলেন, কারও আবার সারা দিন না খাওয়ার ফলে খিদে মরে যায়, ফলে না খেয়েই শুয়ে পড়েন তাঁরা। ফল টের পাওয়া যায় পরের দিন। পেট খারাপ, দুর্বলতা, মাথা যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙে। কালীপুজোয় উপোস করেও কী ভাবে চাঙ্গা থাকবেন, রইল হদিস।
১) নির্জলা উপোস না হলে সারা দিন জল অল্প অল্প করে জল খেতে থাকুন। দাঁতে কিছু না কাটলেও চা, ফলের রস খেতে পারেন। উপোস করলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দিলে চলবে না।
২) উপোস করলে রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করবেন না। পুজোর কাজে খাটাখাটনি থাকলেও বাড়ির কাজ করুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোবেন না। রোদে ধকল বেড়ে মাথা ধরতে পারে। বাজারহাট সব সকাল সকাল সেরে রাখুন।
৩) নির্জলা উপোস করলে মাঝেমাঝে মুখ, গলা, ঘাড়, হাত, পায়ে জলের ঝাপটা দিন। শরীর চাঙ্গা লাগবে।
৪) উপোস করার আগের দিন রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে শুতে যান।
৫) উপোসের আগের দিন রাতে ভাল ঘুম দরকার। আগের রাতে ঘুম ভাল না হলে পর দিন উপোসের পর শরীর ভাঙতে বাধ্য।
উপোস ভাঙার পর কী কী করলে শরীর ফিট থাকবে?
উপোস ভাঙার পর খিদে মরে গেলেও একেবারে খালি পেটে শুতে যাবেন না। সারা দিনের ধকলের পর কিছু না কিছু অবশ্যই মুখে দিয়ে শুতে যান। এমন কিছু খেয়ে উপোস ভাঙুন যাতে শর্করার পরিমাণ বেশি। খেজুর, কলা জাতীয় ফল খেয়ে উপোস ভাঙতে পারেন। এই জাতীয় ফল রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে শক্তি জোগায়। এ ছাড়া, মিষ্টি বা পায়েস খেয়েও উপোস ভাঙতে পারেন। তবে খুব কড়া মিষ্টি বেশি খাবেন না। সারা দিন না খাওয়ার পর বেশি মিষ্টি খেলে গা গুলিয়ে উঠতে পারে। উপোসের পর ভাজা, তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার না খাওয়াই ভাল। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে, অস্বস্তি বাড়বে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও হতে পারে। তবে যা-ই খান না কেন, অল্প পরিমাণে খান। সারা দিন পর খিদেয় হঠাৎ বেশি পরিমাণে খেলে শরীর খারাপ লাগতে বাধ্য। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে শুতে যান। উপোস, পুজোর ধকলের ক্লান্তিতে ঘুম আসতে চায় না। গরম দুধ খেলে ঘুম ভাল হবে।