মিষ্টি তৈরির খোয়ায় ভেজাল মিশে নেই তো? ছবি: সংগৃহীত।
গনেশ চতুর্থীর পালা মিটেছে। এর পর আসছে বিশ্বকর্মা পুজো। সামনেই উৎসবের মরসুম। সেই উপলক্ষে অনেক বাড়িতেই মিষ্টি তৈরি হয়। মিষ্টি তৈরির মূল উপকরণ হল খোয়া। হাতের তালু দিয়ে খোয়া মেখে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ছানা বা ময়দা মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয়। যাঁরা নিয়মিত মিষ্টি তৈরি করেন, তাঁরা অবশ্য খালি চোখে দেখেই বলে দিতে পারেন খোয়া ভাল না মন্দ। কিন্তু দোকান থেকে কিনে আনা সেই খোয়ার মধ্যে ভেজাল মিশে আছে কি না, সাধারণ মানুষ তা বুঝবেন কী করে?
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, খোয়ার মধ্যে স্টার্চ, ভেজিটেবল ফ্যাট, চকের গুঁড়ো মিশে থাকলে আয়োডিনের সংস্পর্শে তা নীল বর্ণ ধারণ করে। খালি চোখে বোঝা না গেলেও ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড সেফটি অথরিটি’ (এফএসএসএআই) এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য সাধারণ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছে। দেখে নিন সেগুলি কী কী।
প্রথম পদ্ধতি:
এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ খোয়া দিয়ে দিন। এ বার এই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন মিশিয়ে নিন। যদি ওই মিশ্রণ নীলচে রং ধারণ করে, তা হলে বুঝতে হবে খোয়ার মধ্যে অশুদ্ধি মেশানো রয়েছে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
পচনশীল খাবার জিনিস দীর্ঘ দিন টাটকা রাখার জন্য তার মধ্যে অনেক সময়ে ফর্মালিন মেশানো থাকে। তা বোঝার জন্য সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। তার জন্য একটি পাত্রে সামান্য খোয়া নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ফর্মালিন দিয়ে দিন। খোয়া যদি বেগনি রং ধারণ করে তা হলে বুঝতে হবে, তার মধ্যে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
তৃতীয় পদ্ধতি:
এফএসএসএআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ভাল মানের খোয়া সাধারণত তৈলাক্ত এবং দানাযুক্ত হয়। হাতে ঘষে দেখলেই বোঝা যাবে তেলতেলে ভাব রয়েছে কি না। দোকানে গিয়ে খোয়া কেনার আগে হাতে ঘষে দেখে নিতে হবে।