হিংয়ের হরেক গুণ ছবি: সংগৃহীত
কচুরি থেকে আলুর দম, স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে হিংয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে হিংয়ের। স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগুণেও হিং অত্যন্ত উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
১। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসাবে
হিংয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভিনয়েড নামক উপাদান। এই উপাদানগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে খুবই কার্যকর বলে মত অনেকের। এই ধরনের উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
২। হজমে
প্রাচীন কাল থেকেই হজমের উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে হিং। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণাও ইঙ্গিত করছে সে দিকেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, হিং বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই হিং খেলে কমতে পারে বদহজম ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা। হিং পিত্তরসের ক্ষরণ স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে বলে মনে করেন কেউ কেউ। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম নিরাময়েও হিং সহায়তা করে বলে মত অনেকের।
৩। ঋতুস্রাবের সময়ে
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই পেশির টান ও অনিয়মিত রক্তক্ষরণের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হন। অনেকের মতে, এই সমস্যাগুলি থেকে চটজলদি আরাম পেতে কাজে আসতে পারে হিং।
তবে মনে রাখতে হবে সকলের শরীর সমান নয়। তাই সব খাবার সকলের জন্য উপকারী না-ও হতে পারে। তা ছাড়া এই ধরনের খাবারের উপকারিতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলেও মত অনেকের। ফলে নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।