হিং-জোয়ানের জল খেলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
এই গরমেও ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। পছন্দের মিষ্টি, চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পরই ক্যালোরির হিসাব করতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবার রাতে খাবার খাওয়ার পর জিরে, জোয়ান কিংবা ধনে ভেজানো জলও খান। তা সত্ত্বেও ওজন যন্ত্রে বিশেষ কোনও হেরফের চোখে পড়ে না। কিন্তু জোয়ান ভেজানো জলের সঙ্গে কখনও হিং মিশিয়ে খেয়েছেন কি?
হিং কিংবা জোয়ান, মশলা হিসেবে হেঁশেলে কোনওটিই আনকোরা নয়। দু’টিরই আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। গ্যাস- অম্বলের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই জোয়ান ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। সর্দি-কাশির জন্য হিং বেশ কাজের। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জোয়ান ভেজানো জলের মধ্যে এক চিমটে হিং মিশিয়ে খেলে তার গুণ বৃদ্ধি পায়। ভারী খাবার খাওয়ার পর এই পানীয় খেলে তা বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। আর কী উপকার হয়?
১) শরীরচর্চা, ডায়েট করেও মেদ ঝরছে না? দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর হিং এবং জোয়ান ভেজানো জল খেতে পারেন। এই পানীয়টি বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) গ্যাস, পেটফাঁপা, অম্বল, এই ধরনের যাবতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে হিং-জোয়ানের জল। এই পানীয় খেলে পাকস্থলী থেকে হজমে সহায়ক উৎসেচক বা ‘এনজ়াইম’ ক্ষরণ পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তেল-মশলা বা চর্বিজাতীয় খাবার পরিপাক করা সহজ হয়।
৩) এই পানীয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কিংবা সংক্রমণজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। দীর্ঘ দিনের পুরনো কাশি, অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিসজনিত সমস্যাও কমে।