ত্বকের জন্য ভিটামিন সি-র ভূমিকা কতটা? ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভাল রাখতে গেলে বাইরে থেকে যতই প্রসাধনী মাখুন না কেন, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি না থাকলে কোনও কাজই হবে না। ভিটামিন সি-র মধ্যে এমন কী রয়েছে? ভিটামন সি আসলে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। বিটা-ক্যারোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন সি-ও ত্বকের কোলাজেন সিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও এই ভিটামিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে টান টান রাখতেও ভিটামিন সি-র প্রয়োজন।
এ ছাড়া ভিটামিন সি শরীরের কোন কোন কাজে লাগে?
১) এই ভিটামিন হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস। যা বার্ধক্যজনিত কারণে কোষ ধ্বংস হওয়া রুখে দিতে পারে।
২) মরসুম বদলের কারণে ঘন ঘন জ্বরজ্বালায় ভুগছেন? রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
৩) খাবার থেকে আয়রন শোষণ করতে এবং রক্তের লোহিত কণিকা উৎপাদন করতে ভিটামিন সি-র ভূমিকা রয়েছে।
৪) হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। হার্টের শিরা এবং ধমনীর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ‘ক্যাপিলারি’গুলিকেও সুরক্ষিত রাখে।
৫) ক্ষত নিরাময় করতে কিংবা অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
রোজের কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে?
কাঁচালঙ্কা
কাঁচালঙ্কা হল ভিটামিন সি-র উৎস। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম কাঁচালঙ্কা থেকে প্রায় ১৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামন সি পাওয়া যায়। আবার, অনেকেই রান্নায় শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করেন। এই গোত্রের লঙ্কায় ঝালের মতোই ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি। ১০০ গ্রাম শুকনো লঙ্কায় এই ভিটামিনের পরিমাণ প্রায় ২২৯ মিলিগ্রাম। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা রয়েছে।
পেয়ারা
পেয়ারা খেতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই ফলটিও ভিটামিন সি-র উৎস। ১০০ গ্রাম পেয়ারা থেকে প্রায় ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এই ফলটি তার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণের জন্য প্রসিদ্ধ।
কমলালেবু
সাইট্রাস জাতীয় ফলের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে ভরপুর মাত্রায়। অন্যান্য লেবুর চেয়ে কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি-র মাত্রা বেশি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একটি কমলালেবুর মধ্যে প্রায় ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। রোজ একটি করে কমলালেবু খেলে ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ যায় সহজেই।