ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা সব বয়সের মানুষের জন্য জরুরি। খুব বেশি ক্ষণ না হলেও অন্তত ১৫ মিনিট করে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস হাড় শক্তিশালী করে, বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়, মন ভাল রাখে। আজকাল গাঁটে ব্যথা বা অস্টিওপোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বয়সকালে হাড়ের সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করার অভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শরীরচর্চার বিভিন্ন ধরন আছে। বয়স ভেদে সেগুলি বদলে যায়। জেনে নিন ষাটোর্ধ্বদের জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম নিরাপদ।
বয়স বাড়লে কোন ধরনের শরীরচর্চায় জোর দেবেন?
১) হাঁটাহাঁটি: প্রতি দিন হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। বার্ধ্যক্যে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সামগ্রিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাচলা করা জরুরি। সময়ের অভাবে অনেকেরই রোজ হাঁটতে যাওয়া হয় না। শরীরের যত্ন নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয় না। শরীরের যত্ন নিতে দিনের যে কোনও সময়ে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নেওয়া জরুরি।
২) যোগাসন: বয়স ব়াড়লে হাঁটুর ব্যথা, গাঁটের ব্যথা, পেশির নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। একটা বয়সের পর থেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করাটা শরীরের জন্য খানিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই বাড়িতেই নিয়ম করে যোগাসন, প্রাণায়াম, ধ্যান করা প্রয়োজন। বয়সকালে সুস্থ থাকে যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই। যোগাসনের পাশাপাশি ধ্যান করলেও মন শান্ত থাকে, মানসিক চাপ কমে।
৩) সাঁতার: ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা করার মানেই জিমে যাওয়া নয়। কেউ চাইলে জিমে যাওয়ার বদলে নাচ করতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন। সাঁতারও কাটতে পারেন। নিয়ম করে সাঁতার কাটলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। সাঁতার কাটলে হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস ভাল থাকে। যাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটেন হৃদ্রোগের ঝুঁকি তাঁদের অনেক কম থাকে।