ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন ঝরানোর পাশাপাশি, পেশির গঠন এবং অস্থিসন্ধির জোর বৃদ্ধি করাও জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
বাতের ব্যথার সঙ্গে বয়সের সম্পর্ক থাকলেও ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও এই ব্যথার প্রকোপ দেখা যায়। দীর্ঘ ক্ষণ এক ভাবে বসে কাজ করা, শরীরচর্চার অভাব, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণেই এই ব্যথা দিনে দিনে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গেও হাঁটু এবং কোমরের ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি দেহের ওজন ঝরাতে পারলে বাতের ব্যথায় আক্রান্তরা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করে আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’। ওজন ঝরানোর পাশাপাশি, পেশির গঠন এবং অস্থিসন্ধির জোর বৃদ্ধি করাও জরুরি।
কোন তিন ব্যায়ামে বাতের ব্যথা বশে থাকবে?
১) স্কোয়াট্স
পা এবং কোমরের পেশি মজবুত করতে এটিই সবচেয়ে সহজ একটি পন্থা। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে দু’পা ফাঁক করে দাঁড়ান। এ বার দুই হাত টান টান করে সামনে রেখে, হাঁটু ভাঁজ করে অর্ধেকটা বসতে চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ সেট করুন। ধীরে ধীরে আরও সংখ্যা বাড়াতে পারেন।
২) পুশ আপ্স
পুশ আপ এমন একটি ব্যায়াম যা সারা শরীরের মাংসপেশিগুলি মজবুত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোর মাস্ল। প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে ধরুন। এ বার কনুই ভাঁজ করে এক বার মাটির কাছাকাছি আবার কনুই সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যান। শুরুতে অসুবিধা হলে, দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম।
৩) গ্লুট ব্রিজ
কোমরের যন্ত্রণা সামাল দিতে এই ব্যায়াম অব্যর্থ। গ্লুট ব্রিজ করার জন্য প্রথমে মাটিতে টান টান করে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে, নিতম্বের কাছাকাছি টেনে আনুন। দুটি হাঁটু যেন সমান্তরাল অবস্থায় থাকে। এ বার পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে কোমর থেকে পিঠের অংশ তুলে ধরুন। শূন্যে ঝুলিয়ে রাখুন ১ মিনিট। তার পর মাটিতে রাখুন। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ সেট করুন। ধীরে ধীরে আরও সংখ্যা বাড়াতে পারেন।