কোলেস্টেরল জব্দ করার পানীয়। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেরই ধারণা চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এমন ধারণা ঠিক নয়। কারণ, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হল বিপাকহার। এই বিপাকহার আবার প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা। তা ছাড়া শারীরিক কিছু পরিস্থিতির উপরেও বিপাকহারের ভালমন্দ নির্ভর করে। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তবাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ, খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে সঙ্গে যদি আরও তিন রকম পানীয় রাখা যায়, সেই কাজ অনেকটা সহজ হয়। পাশাপাশি মরসুমি সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালের জলখাবারে কোন তিন পানীয় রাখা যেতে পারে?
১) আপেল, গাজর এবং কমলালেবু
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে আপেল, গাজর এবং কমলালেবু মিশ্রিত পানীয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অন্ত্র ভাল রাখা প্রয়োজন। অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে এই পানীয় খেলে। ভিটামিন সি, ই, ফসফরাস এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই পানীয় ত্বকের জন্যেও ততধিক উপকারী।
২) পালং শাক এবং শসা
জরুরি বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে পালং শাক এবং শসা মিশ্রিত পানীয়ে। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এই পানীয়। শরীরে ইলেট্রলাইট-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে জলখাবারে রাখা যেতেই পারে এই রস।
৩) আপেল, বিট এবং গাজর
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত খেতে পারেন আপেল, বিট এবং গাজর দিয়ে তৈরি বিশেষ এই পানীয়। বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ়ে সমৃদ্ধ এই পানীয় শুধু রোগ প্রতিরোধ কিংবা কোলেস্টেরল নয়, চুল এবং ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে।