পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই আসছে দীপাবলি। প্রতীকী ছবি।
সারা বছর উৎসবের আসা-যাওয়া লেগেই রয়েছে। পেরিয়েছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো। সামনেই আসছে আলোর উৎসব দীপাবলি। এই আনন্দের মাঝে সবচেয়ে বেশি যে অবহেলিত হয় শরীর। অসময়ে খাওয়াদাওয়া, জল কম খাওয়া, নিজের প্রতি যত্ন না নেওয়া, বাইরের খাবারের স্বাদ বেশি করে নেওয়া— এমন অনেক কারণে আনন্দ-উৎসবের মাঝেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে। সব দিক বজায় রেখে চলাটাই আসল। মন খুলে আনন্দ করুন। খাওয়াদাওয়া করুন। মনমতো খাবারের স্বাদ নিন, তবে সবটাই খুব মেপে। বুঝেশুনে। উদ্যাপন করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি না করাই ভাল।
পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই আসছে দীপাবলি। তার পর ভাইফোঁটা। অনেকেই এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। অফিসের পাশাপাশি সে সব চলছে। বাড়ি এবং অফিস একসঙ্গে সামলাতেন অনেকে। এখন আবার সেই তালিকায় যোগ হয়েছে উৎসব উদ্যাপনের পূর্ব প্রস্তুতি। এত কাজ করে উৎসব আসার আগে দুর্বল হয়ে পড়লে মুশকিল। কাজ চলতে থাকুক। কিন্তু সুস্থ এবং ফিট থাকুক শরীর। এর জন্য আলাদা সময় দিতে হবে না। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে বুদ্ধি খাটালেই চলবে।
খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন
কাজের ফাঁকে বাইরে থেকে আনিয়ে টুকটাক খাবার খাওয়া কিছু দিন বন্ধ থাক। এক থালা বিরিয়ানির বদলে অর্ধেকটা খান। উৎসব আসছে মানেই খাওয়ার পাতে মিষ্টির ছড়াছড়ি। আগে থেকে তাতে একটু রাশ টানুন। মাঝরাতে খিদে পেলেই আইসক্রিম বা চকোলেটের বারে কামড় বসিয়ে দেবেন না। উৎসবের অনিয়মের পরেও সুস্থ এবং ফিট থাকতে এটুক ত্যাগ করাই যায়।
শরীরচর্চা বন্ধ করা যাবে না
কাজ সারা জীবন থাকবে। সময় বার করে শরীরচর্চাও করতে হবে। সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই। হতেই পারে কোনও এক দিন কাজের চাপ বেশি। অসুবিধা নেই। সে দিন জিমে গেলেন না। বাড়িতেই সহজ কয়েকটি ব্যায়াম করে নিলেন। তবে এই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। ধারাবাহিক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
বেশি ক্যালোরি নয়
কেক, পেস্ট্রি, বার্গার, নরম পানীয়— এমন সব লোভনীয় খাবারেই রয়েছে ভরপুর ক্যালোরি। একেবারে এ সব খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে, এমন নয়। সপ্তাহে এক দিন খেতেই পারেন। সমস্যা নেই। রোজ খিদে পেলেই এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভাল। রোজ শরীরে ক্যালোরি গেলে চেষ্টা করেও ওজন কমানো সমস্যার হয়ে যাবে।
উদ্বেগহীন থাকুন
কোনও বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। সে ব্যক্তিগত জীবনে হোক বা কর্মক্ষেত্রে। সমস্যা তো থাকবেই। তা সমাধান করার উপায়গুলি নিয়ে ভাবুন। অযথা মানসিক চাপ বাড়াবেন না। আনন্দে থাকুন। খুশিতে থাকুন। মন ভাল থাকলে সুস্থ থাকবে শরীরও। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।