শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছয়। ছবি- সংগৃহীত
ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকা কাজের চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যা নতুন নয়। কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনা কিংবা ঘর সামলানোর দায়িত্বে থাকা গৃহবধূ, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কমবেশি সকলকেই। কারও জীবনে আবার থাকে ব্যক্তিগত ঘাত-প্রতিঘাতের ইতিহাস। এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকে। কিন্তু এই চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রথমেই ওষুধ নয়, ভরসা থাকুক যোগাসনে।
প্রতি দিন কোন কোন যোগাভ্যাস করলে বশে থাকবে মানসিক উদ্বেগ?
পশ্চিমোত্তনাসন
মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন। কোমর থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে, মাথা হাঁটুতে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। দু’হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই যোগাভ্যাসে গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্র সচল থাকে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
ধনুরাসন
মেঝেতে উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটি থেকে উপরের দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। দু’টি হাত উল্টো দিকে ঘুরিয়ে, পা দু’টিকে এমন ভাবে ধরার চেষ্টা করুন, দেখতে যেন ধনুকের মতো লাগে।
প্রাণায়াম
শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছয়। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বার করে দিতে পারলে উদ্বেগজনিত সমস্যা অনেকটাই বশে থাকে।
অনুলোম-বিলোম
এক দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া এবং উল্টো দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করার ব্যায়ামই হল অনুলোম-বিলোম। প্রথমে ৫ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করে পরে ২৪ সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
ভ্রামরী
সুখাসনে বসে, গভীর ভাবে শ্বাস নিতে শুরু করুন। দু’আঙুল দিয়ে কানের রন্ধ্র চেপে রাখুন। এ বার চোখ বন্ধ করে ইংরেজি স্বরবর্ণ ‘এ’, ‘ই’ ‘ও’ উচ্চারণ করতে থাকুন। এই ভাবে প্রত্যেকটি বর্ণ পাঁচ বার করে বলা অভ্যাস করুন।