Career Related Anxiety

পেশাগত উদ্বেগ কি পরবর্তী কালে মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে? এর থেকে মুক্তির উপায় কী?

চাকরি হোক বা ব্যবসা, উদ্বেগ কম-বেশি সকলেরই নিত্য সঙ্গী। কিন্তু এই উদ্বেগ যদি কোনও ভাবে মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত করে, তখন তাকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৩
পেশাগত উদ্বেগও মনে ভয় ধরায়?

পেশাগত উদ্বেগও মনে ভয় ধরায়? ছবি- সংগৃহীত

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিরোগ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুন্দর মানসিকতার। কিন্তু প্রতি দিন ঘরে-বাইরে নানা রকমের সমস্যা সামাল দিতে উদ্বেগ বাড়ছে বই কমছে না। ব্যক্তিগত জীবনের কথা বাদ দিলেও প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে ইঁদুরদৌড়, প্রতিযোগিতা এবং কাজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পারা, কাজ নিয়ে বেশি চিন্তা করার ফলে উদ্বেগ বাড়তে বাড়তে রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

মনোবিদদের মতে, শুধু কাজের গতিপ্রকৃতি বা বেশি চিন্তা নয়, পরিবারে কারও যদি উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে এই রোগের শিকার হতে পারেন যে কেউ। শুধু ব্যক্তি বা সময়বিশেষে তা প্রকট হয়ে ওঠে। কারও ক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে, কারও ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর ভয়ে, আবার কারও ক্ষেত্রে পরিবারের কাউকে হারানোর ভয়ে উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে।

উদ্বেগ কখন মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?

সারা ক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকা, ঘুম কমে যাওয়া, হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হাত-পা কাঁপা, হাঁপানো, কারও কারও ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা বা বমি হওয়ার মতো লক্ষণ দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে, তা মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ভবিষ্যতে মনের কোনও গভীর রোগে আক্রান্ত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন?

১) প্রথমেই খুঁজে বার করতে হবে ঠিক কোন জায়গা থেকে এই ভয় বা আতঙ্কের উদ্রেক হচ্ছে।

২) প্রাথমিক ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মন খুলে কারও সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। পরিবারে যাকে বেশি ভরসা করেন বা যিনি সবচেয়ে কাছের বন্ধু, তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। যদি তেমন কেউ না থাকেন, অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

৩) উদ্বেগের জন্য যদি রাতে ঘুম না আসে, সে ক্ষেত্রে ধূমপান বা মদ্যপান কিন্তু সমাধান হতে পারে না।

আরও পড়ুন
Advertisement