বয়স বাড়লে চিকিৎসকরা শরীরের প্রতি বাড়তি সচেতনতা নিতে বলেন। প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়লে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনের পাশাপাশি শারীরিক পরিবর্তনও দেখা দেয়। কম বয়সের মতো কর্মক্ষমতাও থাকে না। কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। বয়স বাড়লে চিকিৎসকরা শরীরের প্রতি বাড়তি সচেতনতা নিতে বলেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পরামর্শও দিয়ে থাকেন তাঁরা। বার্ধক্য অনিবার্য এবং স্বাভাবিক। তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছু নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে বেশি বয়সেও চনমনে এবং শক্তিশালী থাকতে পারবেন। বার্ধক্যে খাওয়াদাওয়া কিছু রাশ টানা জরুরি। বাইরের তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার এই সময়ে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। ঘরোয়া রান্নাই বেশি করে খান। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলাও জরুরি। পাশাপাশি, বয়সকালে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন বেশ কয়েকটি পানীয়।
বেদানার রস
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পলিফেনলসমৃদ্ধ বেদানা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও বয়স পঞ্চাশের কোঠা পার করার সঙ্গে হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। বেদানা বয়সজনিত হজমের সমস্যার দ্রুত সমাধান করে।
গাজরের রস
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে উপকারী উপাদান লুটেইন। বয়স বাড়লে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, ছানি পড়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। গাজর চোখ এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত যে গাজরের বিটা ক্যারোটিন উপাদান ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
বিটের রস
বিটের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন অনেকেই। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে কমে যাওয়া প্রতিরোধ শক্তিকে শক্তিশালী করে তুলতে বিট অপরিহার্য। রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত চলাচল সচল রাখতে খেতে পারেন বিটের রস।