ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতীকী ছবি।
আট থেকে আশি— শরীরের যত্ন নিতে যে খাবারগুলি রোজের পাতে রাখার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা, তার মধ্যে অন্যতম দুধ। শরীরে ক্যালশিয়ামের জোগান দেয় যে খাবারগুলি, সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে দুধ। ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দুধ শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। হাড় থেকে দাঁত— সব কিছুর যত্ন নিতে দুধের জুড়ি মেলা ভার। বিপাকক্রিয়া উন্নত করতেও দুধ দারুণ সাহায্য করে।
অনেকেই রোজ দুধ খান। শিশু থেকে বৃদ্ধ— সকলেরই প্রতি দিন দুধ খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন কিছু পুষ্টিবিদ। সকালে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে কর্নফ্লেক্স ভিজিয়ে খান, আবার রাতে ঘুমনোর আগেও কেউ কেউ চুমুক দেন দুধের গ্লাসে। প্যাকেটজাত দুধ কিনে খাওয়ার চল বেড়েছে ইদানীং। প্যাকেটের দুধ মানেই তা পাস্তুরাইজ করা। দুধ জীবাণুমুক্ত করা এবং তা সংরক্ষণ পদ্ধতির নাম পাস্তুরাইজেশন। বিশেষ পদ্ধতিতে উচ্চ তাপমাত্রায় পাস্তুরাইজ করা হয়। অনেকে বলেন, পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করে বাজারে যে দুধ আসছে, তা ফোটানোর কোনও দরকার নেই। কাঁচা দুধ কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর?
চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁচা দুধ যতই জীবাণুমুক্ত করা হোক, তা না ফুটিয়ে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গেলেও দুধ এক বার না ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নয়। বাজার থেকে কেনা প্যাকেটজাত দুধ সরাসরি খেলে শরীরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মারা যায়। কাঁচা দুধ খেলেই বিপদ। না ফোটানো দুধে ই-কোলাই, সালমোনেলার মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়।