পরিবেশে দূষণের মাত্রা বাড়ছে, সঙ্গে জীবাণুর বাড়বাড়ন্তে শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে ছোটদেরও। ছবি: ফ্রিপিক।
হাঁপানি বাড়ছে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে একই সঙ্গে বেড়েছে রোগ সম্পর্কে সচেতনতাও। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ, রাত্তিরে সমস্যা উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া— এই হল সংক্ষেপে হাঁপানির মূল সমস্যা। শিশুরাও ভুগছে এই রোগে। পরিবেশে দূষণ যত বাড়ছে, ততই হাঁপানির উৎপাত বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে মরসুম বদলে ভাইরাসের প্রকোপ তো রয়েছেই।
ফুসফুসে বাতাস বহনকারী সরু সরু টিউবের মতো অজস্র নালি আছে। অ্যালার্জি ও অন্যান্য কারণে সূক্ষ শ্বাসনালিগুলির মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বাতাস চলাচল করতে পারে না। ফলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকতে পারে না ফুসফুসে। তখনই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
সকলের ক্ষেত্রে কিন্তু উপসর্গ এক রকম হবে না। তবে বারে বারে সর্দিকাশি এই অসুখের এক অন্যতম উপসর্গ। কাশতে কাশতে চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়। রাতে ঘুমের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট হয়। খাবার খেতে অসুবিধে হয়, বমি হতে পারে। শিশুর এমন সব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক থাকতে হবে।
বাবা-মায়েরা কী কী খেয়াল রাখবেন?
১) ধুলোবালি থেকে বাঁচতে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরাতেই হবে। ঘরদোর যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
২) শিশুর যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট সব সময় হতে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। সঙ্গে ইনহেলার রাখতে ভুলবেন না।
৩) অ্যালার্জি এই অসুখের এক অন্যতম কারণ। ধুলো, ধোঁয়া, বাতাসে ভেসে থাকা ফুলের রেণু, পোষা পশুপাখির লোম, রান্নাঘর ও বিছানার ধুলো, তুলোর আঁশ ইত্যাদি শ্বাসনালীর প্রদাহ সৃষ্টি করে। তাই সাবধান থাকতেই হবে।
৪)চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রিভেন্টিভ ইনহেলারও সঙ্গে রাখুন। ঋতু পরিবর্তনের সময় জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত বা পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই কারণে প্রিভেন্টিভ ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত।
৫) হাঁপানির সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়া বা চিকেন পক্স হলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। টিকা নেওয়া থাকলে সেই ভয় থাকে না। তাই ছোটদের নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও চিকেন পক্সের টিকা দিয়ে রাখা খুব জরুরি।