— প্রতীকী চিত্র।
গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়েও অনেক সময়ে ঘাম হয়। আবার নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর রাতে ঘুমের মধ্যে মহিলারা হঠাৎ ঘেমে যান ঋতুস্রাব স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে আসার সময়ে। তবে এই ঘামের সঙ্গে যে ক্যানসারের যোগ রয়েছে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত মূত্রের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসা, ব্যথা বা যন্ত্রণা হওয়া কিডনির ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় মূত্রের এই রক্তের উপস্থিতিকে বলা হয় ‘হেমাচুরিয়া’। এর সঙ্গে ঘাম হওয়া বা কারও কারও ক্ষেত্রে জ্বর আসাও এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। তবে এই লক্ষণগুলি থাকা মানেই যে তিনি কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনটা না-ও হতে পারে।
আর কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) পিঠের নীচের দিকে বা কোমরের কাছে কোনও শক্ত দলা। কখনও কখনও তা পাঁজরের নীচেও হতে দেখা যায়।
২) বুকের পাঁজরের নীচ থেকে কোমর পর্যন্ত অসহ্য ব্যথা যন্ত্রণা হতে পারে।
৩) খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না বললে চলে।
৪) কোনও কসরত ছাড়াই অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যেতে পারে।
৫) অল্পতেই পরিশ্রান্ত হয়ে পড়াও কিডনির ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ইংল্যান্ডে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন। মৃত্যির হারও নেহাত কম নয়। ভারতেও রেনাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা ভয় পাওয়ার মতোই। তবে অন্যান্য ক্যানসারের মতোই সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এই রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায়। ক্যানসারের ধরন এবং পর্যায়ের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার ধরন। কারও ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওষুধ, রেডিয়োথেরাপি এবং কেমোথেরাপিতেই কাজ চলে যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন পড়ে।