যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, মলত্যাগ করতে গেলেই মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে বা নিয়মিত মলত্যাগ না হয় সে ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
সঠিক সময়ে ধরা পড়লে না কি ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিকেও লাগাম পরানো যায়! কিন্তু মুশকিল হল ক্যানসার চট করে ধরা পড়ে না। প্রথম অবস্থায় এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও অবস্থা যখন গুরুতর হয়, তত দিনে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়াই স্বাভাবিক। শুধু ক্যানসার নয়, যে কোনও রোগই কিন্তু শরীরে শিকড় ছড়াতে শুরু করলে কোনও না কোনও লক্ষণ মারফত জানান দেয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে, বুঝতে পারেন না অনেকেই। কিছু দিন আগেই কোলন ক্যানসারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালানোর পর মারা গেলেন ফুটবল কিংবদন্তি খেলোয়ার পেলে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার বাদ দেওয়া হয় টিউমার। তার পর থেকে কেমোথেরাপির মতো বিভিন্ন রকম চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু শেষকালে আর কোনও কিছুতেই তেমন সাড়া মিলছিল না। এই ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করা নিঃসন্দেহে কঠিন। যত দ্রুত রোগ ধরা পড়ে, চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ তত সহজ হয়। তাই আগে থেকে কোলন ক্যানসারের লক্ষণগুলি চিনে রাখা ভাল।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ ভাবে মলদ্বার থেকে রক্ত পড়া বা মলের ধরনে হঠাৎ হঠাৎ পরিবর্তনও কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। এইগুলিও কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
কোনও কারণ ছাড়াই কিছু দিন অন্তর যদি পেট খারাপ হয়, আবার পর্যাপ্ত জল, খাবার খাওয়ার পরেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, মলত্যাগ করতে গেলেই যদি মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে বা নিয়মিত মলত্যাগ না হয় সে ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে?
শরীরের কোনও অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবুও উল্লিখিত লক্ষণগুলি যদি টানা দু’মাস ধরে চলতে থাকে, তখন সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।