বাগানের যত্নআত্তিতে যত্নে থাকবে শরীর। ছবি: ফ্রিপিক।
নিজের হাতে পোঁতা চারা যখন বড় হয়ে ফুল ও ফল দেয়, তা দেখে আনন্দের সীমা থাকে না। প্রতি দিন সবুজের সঙ্গে থাকা, গাছে জল দেওয়া, পরিচর্যার মধ্যে মেলে মানসিক শান্তি। দূর হয় ক্লান্তি। চিকিৎসকেরা বলছেন, সবুজের সান্নিধ্য অবসাদ দূর করে। তবে শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই নয়, বাগান করার শখে শরীরও ভাল থাকে।
শরীরচর্চা
বাড়ির বারান্দা কিংবা একফালি উঠোন, যেখানেই বাগান হোক না কেন, নিজে তার দেখভাল করলে আলাদা করে শরীরচর্চার প্রয়োজন হবে না। গাছে জল দেওয়া, মাটি কোপানো, আগাছা পরিষ্কারের মাধ্যমেই পেশি সঞ্চালন হয়। কেউ কোদাল দিয়ে মাটি কোপালে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ঘাম-মেদ দুই-ই ঝরবে দ্রুত। আবার যাঁরা ‘লো ইনটেনসিটি’ শরীরচর্চা করতে চান, অর্থাৎ যেখানে অস্থিসন্ধিতে বেশি চাপ পড়বে না, তাঁদের ক্ষেত্রে গাছে জল দেওয়া, টবের মাটি খোঁড়ার মাধ্যমেই ব্যায়াম হয়ে যাবে। বয়স্কেরা এ ভাবে মন ও শরীর দুই-ই ভাল রাখতে পারেন।
পেশি মজবুত হয়
নিয়মিত বাগানের পরিচর্যায় হাতের পেশিও মজবুত হয়। প্রতি দিন মাটি খোঁড়া, সার দেওয়া, জল দেওয়ার ফলে হাতের ব্যায়াম হয়। তা থেকে পেশিও মজবুত হয়ে ওঠে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল হয়
বাগানের কাজগুলির মাধ্যমে যে হেতু অঙ্গ সঞ্চালন হয়, তাই রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এতে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। তবে হার্টের সমস্যা থাকলে, বাগানের কোন কাজটা করা যাবে, কোনটা নয়— সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত কোদাল দিয়ে মাটি কোপানো বা বালতি করে জল বয়ে আনার মতো বেশি পরিশ্রমের কাজগুলি কথা বলেই করা উচিত।
ভিটামিন ডি
হাড় মজবুত করতে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। এ ছাড়া ভিটামিন ডি-এর অভাব কখনও কখনও অবসাদের জন্ম দিত পারে। সাপ্লিমেন্ট খেয়ে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হয় ঠিকই, তবে সূর্যালোকে শরীর নিজে থেকেই ভিটামিন ডি তৈরি করে নিতে পারে। গাছপালার বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত রোদ, হাওয়া, জলের প্রয়োজন। তেমনই বাগান করতে গেলে গায়েও রোদ লাগবে। তাতেই শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে।