Brain Tumour

বার বার প্রস্রাবের বেগ মানেই ডায়াবিটিস নয়, মস্তিষ্কের জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে

সাধারণত মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে বমি বমি ভাব, আচমকা চোখ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া উচিত। তবে এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা মস্তিষ্কে টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯
Subtle signs of brain tumour that needs you to use the loo too often.

মস্তিষ্কে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

অনেকে রসিকতা করা বলেন, মাথা থাকলেই মাথা যন্ত্রণা হয়। তাই বলে এই ধরনের সমস্যাকে হালকা ভাবে নেওয়া মোটেও ঠিক নয়। হতে পারে তা মাইগ্রেনের লক্ষণ। আবার হতে পারে তা মস্তিষ্কে টিউমারের উপসর্গ। সাধারণত মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে বমি বমি ভাব, আচমকা চোখে অন্ধকার দেখার মতো উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া উচিত। তবে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি দেখা দিলে সাধারণ ভাবে মাথার কোনও সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয় না। তাই রোগ ধরা পড়তে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। যদিও টিউমারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। কোনটি ম্যালিগন্যান্ট, কোনটি বিনাইন— তা বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মাথার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, চেনা বেশ কিছু উপসর্গ ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জটিল ওই রোগটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

Advertisement

১) আচরণে পরিবর্তন

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মস্তিষ্কে কোনও রকম অবাঞ্ছিত টিস্যু বৃদ্ধি পেতে থাকলে ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন আসে। এই উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকেরা। চট করে রেগে যাওয়া, অসংলগ্ন কথা বলা, সাধারণ বিষয় ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার মতো লক্ষণও এই রোগের উপসর্গ হতে পারে। মস্তিষ্কের সামনের দিক টিউমার দখল করে রাখলে ব্যক্তিত্বে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনই বাড়তে পারে উদ্বেগ, অবসাদের সমস্যা।

২) বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা

সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার মূত্রত্যাগ করার লক্ষণ দেখা যায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রেন টিউমার কিন্তু শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি, অঙ্গের উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ফলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সে কারণে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ক্লান্তি, অল্পতেই ঠান্ডা লাগা, সারা ক্ষণ জল পিপাসা পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় ব্রেন টিউমার হলে।

৩) মুখের অঙ্গভঙ্গি করা

মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ এলে তবেই বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে। কিন্তু টিউমার মস্তিষ্কের সেনসরি রিসেপটরগুলিকে সেই সঙ্কেত গ্রহণে বাধা দেয়। ফলে কখন কোন কথায় কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা বুঝতে সমস্যা হয়। সেই প্রভাব বেশি ফুটে ওঠে মুখের উপর। হাসা, কথা বলা, খাওয়া, মুখ নাড়ানোর মতো কাজ করতে সমস্যা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি সাধারণ মানুষের সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। মাথা যন্ত্রণা মানেই ব্রেন টিউমার নয়। রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা— সব কিছুর জন্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।)

আরও পড়ুন
Advertisement