গরম জল খাওয়ার পরই চট করে সব সমস্যার সমাধান হবে, এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার পর খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে থাকেন অনেকেই। এই অভ্যাস শরীরের পক্ষে ভাল। রাতে খাওয়ার পর, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা জল না খেলে শরীর বেশ খানিকটা শুকিয়েই থাকে। ফলে সকালে উঠেই হালকা গরম জল খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর হয়। তা ছাড়া পুজোর পর থেকে সাধারণ খাবার খেয়েও হজমের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। তাই বন্ধুর পরামর্শে সপ্তাহখানেক নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু তাতে ঠিক কী উপকার হচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন না। গরম জল খাওয়া শুরু করলেই যে চট করে সব সমস্যার সমাধান হবে, এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। তবে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বেশ কিছু তফাত নজরে আসবে।
১) ওজন কমানোর প্রথম শর্ত হল বিপাকহার উন্নত করা। সকালে খালি পেটে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে সেই প্রক্রিয়াটি উন্নত হয়। মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস।
২) ঈষদুষ্ণ জল পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। ফলে শরীরের পক্ষে খাদ্যবস্তু ভাঙা এবং তা থেকে পুষ্টি আহরণ করার কাজটি সহজ হয়।
৩) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল। ঘাম এবং মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এটি।
৪) গরমের সময়ে তো বটেই, শীতকালেও কোষ্ঠকাঠিন্যের উপদ্রব বেড়ে যায়। নিয়মিত ভাবে সকালে ঈষদুষ্ণ জল খেলে অন্ত্রের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক থাকে। যা কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫) ঠান্ডা লাগা, বুকে কফ জমে যাওয়া এবং গলাব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই গরম জল। গরম জল কফ তরল করে বার করে দেয়। এ ছাড়া নাসাপথ পরিষ্কার রাখে।
৬) পেশিতে কোনও প্রকার প্রদাহ, ব্যথা থাকলে তা নিরাময় করতে পারে ঈষদুষ্ণ জল। পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে গরম জল।
৭) মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন ঋতুস্রাবের কষ্টে ভোগেন মেয়েরা। ঈষদুষ্ণ জল খেলে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। পেটের পেশির নমনীয়তা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে গরম জল, ফলে পেটের যন্ত্রণা বা কষ্ট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।