Health Tips

ভাত থেকে ডিম, সামান্য ভুলে ঘরোয়া খাবারও পেটখারাপের কারণ হতে পারে

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১৩:২০
কোন ভুলে ঘরোয়া খাবার খেয়েও শরীর খারাপ হতে পারে?

কোন ভুলে ঘরোয়া খাবার খেয়েও শরীর খারাপ হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, বাইরের খাবার বাদ দিয়েছেন। পাতে থাকছে ডিম থেকে মাছ, মাংস, সব্জি। জানেন কি, স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া খাবার খেয়েও পেটের গোলমাল হতে পারে? কোন ভুলে এমনটা হয়?

Advertisement

বর্ষার দিনে পেটখারাপ, পেটব্যথার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। জল থেকে এই সময়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শাকসব্জি ভাল করে ধুয়ে না খাওয়া, এমনকি সেদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় গলদ থাকলেও বিপদ হতে পারে। কোন কোন খাবার থেকে, কী ভাবে পেটখারাপের সমস্যা হতে পারে?

ভাত

একদিন ভাত রান্না করে ফ্রিজে রেখে সেই ভাত ও বেলা বা পরের দিন বা দিন দুই পরেও অনেকে খান। ফ্রিজে থাকলে ভাত খারাপ হয় না সাধারণত। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ ভাত বাইরে রেখে দিলে বর্ষার মরসুমে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় তা দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে। ব্যাক্টিরিয়া জন্মাতে পারে। তাই ভাত দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে না রাখাই ভাল। ফ্রিজে রাখতে হলেও পরিষ্কার পাত্রে ঢাকনা দিয়ে সঠিক ভাবে রাখা দরকার।

ডিম

আধ সেদ্ধ ডিম থেকে পোচ খেতে অনেকেই ভালবাসেন। একেবারে নরম কুসুম, হালকা তরল সাদা অংশের স্বাদই হয় অন্য রকম। কিন্তু এ ভাবে ডিম খেলে যে কোনও সময় পেটে সংক্রমণ হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ডিম সেদ্ধ করা হলে ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়া নষ্ট হয়। কিন্তু আধ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা থেকে যেতে পারে। যার জন্য পেটের রোগ ছড়ায়।

কাঁচা দুধ

দুধ শুধু গরম করলেই হবে না, প্যাকেট বা বোতলজাত দুধ প্রথম বার খুব ভাল করে ফুটিয়ে নেওয়া দরকার। দুধে ফুটিয়ে নিলে এতে থাকে জীবাণু বা ব্যাক্টিরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কাঁচা দুধ খেলে বা সঠিক ভাবে ফুটিয়ে না নিলে দুধ থেকেও পেটের গন্ডগোল হতে পারে।

সব্জি ও ফল

যে কোনও শাক ও সব্জি কাটার আাগেই ভাল করে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সেই সব্জি যদি মাটির নীচের হয় তা হলে রগড়ে ধুতে হবে। তা ছাড়া যে কোনও শাক বার বার ধোয়া প্রয়োজন। শাকসব্জি ভাল করে না ধুয়ে খেলে বা কাঁচা খেলে বর্ষার দিনে বিশেষত পেটের সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলও রাস্তায় কিনলে না ধুয়ে তাতে কামড় বসানো উচিত নয়।

মাংস

মাংস শুধু কাঁচা অবস্থায় ভাল করে ধোয়া যথেষ্ট নয়, রান্নার সময় তা যেন সুসিদ্ধ হয়, তা দেখা দরকার। সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় মাংসে থাকা ব্যাক্টিরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তন্দুর বা কবাব করার সময়, মাংস কখনও কখনও শক্ত থেকে যায়। এই ধরনের খাবার তখন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

পাশাপাশি পেটখারাপের সমস্যার অন্যতম কারণ হতে না হাত না ধুয়ে খাওয়া। যে থালা-বাসনে রান্না করা খাবার রাখা হচ্ছে বা খাওয়া হচ্ছে, সেগুলিও পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
Advertisement