ডাল খেলে যে শুধু রসনাতৃপ্তি হয়, তা তো নয়, একসঙ্গে যত্ন নেয় শরীরেরও। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির দিনের মেনুতে ঝাল ঝাল কষা মাংস থাকলেও প্রথম পাতে একটু ডাল না হলে চলে না। আবার বাড়িতে যে দিন নিরামিষ, সে দিন যতই পনির কিংবা ধোকা হোক, ডাল থাকতেই হবে। ডালের প্রতি বাঙালির এক অকৃত্রিম ভালবাসা রয়েছে। ডাল খেলে যে শুধু রসনাতৃপ্তি হয়, তা তো নয়, একসঙ্গে যত্ন নেয় শরীরেরও। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পেশি শক্তিশালী করে। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে কি?
পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বাড়তি মেদ ঝরাতে ডালের কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। মুগ, মুসুর, ছোলা, অড়হড়, কলাই, সব ধরনের ডালই ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক। ডালে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। আমিষ খাবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছেন যাঁরা, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডাল হল অন্যতম বিকল্প। ডালে রয়েছে ২৫ শতাংশ প্রোটিন। প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস বলেই ওজন কমানোর পর্বে ডাল রাখা জরুরি। রোগা হওয়ার ডায়েটে প্রোটিন থাকা বাধ্যতামূলক।
শুধু তো প্রোটিন নয়, ডালে রয়েছে ফাইবার, খনিজ পদার্থের মতো উপাদান। শরীরে এই উপাদানগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে, ওজন বেড়ে যেতে পারে। ডাল সেই আশঙ্কা দূর করে। ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হজম যদি ঠিকঠাক হয়, তা হলে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। সে জন্য ডাল খেলে হজমের গোলমাল হয় না। রোগা হতে চাইলে নিয়ম করে ডাল খেলে উপকার পাবেন।
ডালে রয়েছে পলিফেনল নামক উপাদান। তা হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবিটিসের মাত্রায় বিপদসীমা পেরোতে দেয় না। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতেও ডাল উপকারী। এক কাপ ডালে রয়েছে ১৮ গ্রাম প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কিন্তু কম নেই। তাই প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট দু’টোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে ডাল খেতেই হবে। রোগা ছিপছিপে থাকতে তাই ডালের বিকল্প খাবার সত্যিই খুব কম রয়েছে।