রোগ দূর করবে কাঁচালঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।
ঝাল লাগার ভয়ে কাঁচালঙ্কা খান না। কিন্তু আশপাশে কেউ কাঁচালঙ্কা খেলে, তার গন্ধে মনটা তরতাজা হয়ে যায়। অনেকেই আবার ঝাল ছাড়া খাবার মুখে তুলতে পারেন না। তবে অনেকেরই ধারণা ঝাল খেলে শরীরে ক্ষতি হয়। সেই ধারণায় জল ঢেলে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বরং উল্টোটাই। কাঁচালঙ্কার বেশ কিছু পুষ্টিকর দিকও রয়েছে। তবে পরিমাণের উপর নজর দিতে হবে।
কাঁচালঙ্কা খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়?
১) ভিটামিনের ভান্ডার
কাঁচালঙ্কায় বেশ অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যার ফলে হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা। ভিটামিন সি-এর পরিমাণও লঙ্কায় বেশি থাকে। তাই ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে কাঁচালঙ্কা। সহজে মুখে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
২) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
কাঁচালঙ্কা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। কাঁচালঙ্কা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সংক্রমণজনিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। লঙ্কার মধ্যে রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা দেহের কোষ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৩) বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে
কাঁচালঙ্কা খেলে দেহে এক ধরনের তাপ উৎপন্ন হয়। যা বিপাকহারের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা।
৪) ব্যথা কমায়
কাঁচালঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসাইসিন, যা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কাঁচালঙ্কা।
৫) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
কাঁচালঙ্কা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লঙ্কার বীজ এই কাজে খুবই কার্যকর। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগতে থাকা রোগীদের পাতে লঙ্কার উপস্থিতি কাজে আসে।
৬) হজমে সাহায্য করে
অনেকেই জানেন না, কাঁচালঙ্কা খাবার হজমে মহৌষধির মতো কাজ করে। খুব তেল-মশলার রান্নায় গুঁড়ো লঙ্কার পরিমাণ কমিয়ে দিন। গুঁড়ো লঙ্কা খাবারের রং, স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করতে পারে। কিন্তু কাঁচালঙ্কার হালকা ঝাল খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই ঝালের নিয়ন্ত্রণেই হজমের ক্ষমতা সক্রিয় রাখুন।
৭) বন্ধ নাক খুলতে
ঠান্ডা লেগে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। গরম জলের ভাপ নেওয়ার সময়ে হাতে না থাকলে কাঁচালঙ্কার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। চটজলদি বন্ধ নাক খুলতে দারুণ কাজ করে কাঁচালঙ্কা।