Health

নেটমাধ্যমের প্রতি ঝোঁক শিশুদের শারীরিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, জানাচ্ছে জাতীয় সমীক্ষা

সাম্প্রতিকতম একটি সমীক্ষা বলছে, প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে ঝোঁক বেড়েছে। রাত জেগে নেটমাধ্যমে সক্রিয় থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুমের চক্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২৯
খেলাধুলোর বয়সে মোবাইলে নিজেদের জগৎ গড়ে নেওয়াটা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

খেলাধুলোর বয়সে মোবাইলে নিজেদের জগৎ গড়ে নেওয়াটা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রবণতা। সাম্প্রতিকতম একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৭০ শতাংশ পড়ুয়া সারা দিনে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রাতে ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ৬৬ শতাংশ শিশু। মাঝরাত পর্যন্ত নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ শতাংশ।

এখানেই শেষ নয়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ টিকটিক ব্যবহার করে। ৮৪ শতাংশ স্ন্যাপচ্যাট, ৪৪ শতাংশ ইউটিউব এবং ৫৭ শতাংশ ব্যবহার করে ইনস্টাগ্রাম।

Advertisement
মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া নীল ক্ষতি হচ্ছে চোখেরও।

মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া নীল ক্ষতি হচ্ছে চোখেরও। প্রতীকী ছবি।

‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুসারে, ১০-১২ বছর বয়সিদের যেখানে ৯-১২ ঘণ্টা ঘুমানোর কথা, রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে ৭-৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম হচ্ছে না। এর ফলে শরীর, মন, এবং মস্তিষ্ক— সবেতেই প্রভাব পড়ছে। মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া নীল ক্ষতি হচ্ছে চোখেরও। ফলে কম বয়সেই চোখে পাওয়ার চলে আসছে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের রঙিন দুনিয়ায় ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে শিশুরা। খেলাধুলোর বয়সে মোবাইলে নিজেদের জগৎ গড়ে নেওয়াটা সত্যিই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ— এতে দুই-ই ব্যাহত হচ্ছে।

পর্যাপ্ত ঘুম সামগ্রিক সুস্থতার অন্যতম ভিত্তি। সব বয়সের মানুষের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে ঘুমে। বয়ঃসন্ধির সময়ে এমনিতে শারীরিক নানা পরিবর্তন আসে। সেই সময় এই অনিয়ম পরবর্তী কালে আরও মারাত্মক কোনও সমস্যা ডেকে আনতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন
Advertisement