মাত্র ১৫ মিনিটের হাঁটহাঁটিতে শরীর হবে সুস্থ, ফুরফুরে থাকবে মন। ছবি: সংগৃহীত।
ভাল থাকতে গেলে শরীর-মন, দুই-ই ভাল থাকা দরকার। ব্যস্ত জীবনে যদি সে ভাবে শরীরচর্চা করা না-ও যায়, ১৫ মিনিট সময় বের করা কি খুব কঠিন হবে? সেই ১৫ মিনিটে বরং বেরিয়ে পড়ুন হাঁটতে।
দিনের শুরুতে হলেই বেশি ভাল। তবে তা সম্ভব না হলে যে কোনও সময় এই হাঁটাহাটিটা খুব জরুরি। কেন, সেটাই জেনে নিন।
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে: হাঁটা একটি সরল ব্যায়াম। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। দিনে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাই একটু হলেও কমিয়ে দিতে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীর সচল রাখতে নিয়মিত হাঁটা খুব জরুরি।
মন ভাল রাখে" মাঝেমধ্যেই এমন হয় যে, কোনও কিছুই ভাল লাগছে না বা কাজ করে ক্লান্ত মনে হচ্ছে। সেই সময় যদি একটু হাঁটা যায়, বদল হবে মনের অবস্থার। কারণ, হাঁটলে এন্ড্রোফিনের মতো হরমোন নির্গত হয়, যা মনকে খুশি রাখতে সাহায্য করে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত হাঁটহাটি অবসাদ ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ককে সচল রাখে: নিয়মিত হাঁটায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে। অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে: ওজন কমানোর জন্য অনেকেই হাঁটাহাঁটিকে গুরুত্ব দেন। নিয়মিত হাঁটাহাটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। শুধু তা-ই নয়, ক্যালোরি ক্ষয় করতেও সাহায্য করে হাঁটা। যা ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব প্রয়োজন।
তরতাজা করে তোলে: খানিকটা হাঁটহাটি মন ও শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। হাঁটলে শরীরে অক্সিজেন তুলনায় বেশি যায়। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল ভাবে হয়। এই বিষয়গুলি শরীর ও মন তরতাজা করে তোলে।
পেশি ও হাড় মজবুত করে: নিয়মিত হাঁটাহাটিতে যে হেতু পেশি থেকে হাড়, সব কিছুরই ব্যায়াম হয়, তাই সেগুলিও মজবুত হয়ে ওঠে।
ঘুম ভাল হয়: শুলেই যাঁদের ঘুম আসে না, সাধ্যসাধনার দরকার হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এই হাঁটা খুব উপকারে আসে। দিনে অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটলেও শরীরে শক্তি ক্ষয় হয়। তার জেরেই ঘুম ভাল হয়।