রাত বাড়লেই টুকিটাকি খেতে ইচ্ছে হয়! ছবি: সংগৃহীত।
রাত বাড়লেই কি ঘুম থেকে উঠে ফ্রিজ খুলে উঁকিঝুকি দেন? খাবার টেবিলেও ঢাকনা সরিয়ে ভাল খাবারের খোঁ জ করেন। বাড়িতে কোনও টিফিন কৌটোয় মিষ্টি ভরা আছে কিনা, কিংবা আইসক্রিমের সন্ধান চলে?
তাহলে জানুন, রাত হলে মুখরোচক খাবারের খোঁজ চলে বহু বাড়িতেই। অনেকেই আছেন, দীর্ঘক্ষণ রাত জাগার ফলে যাঁদের খিদে পেয়ে যায়। অনেকেই আছেন, খিদে না পেলেও, খাওয়ার তাড়না হয়। কিন্তু তখন কী খাবেন, চকোলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি, কেক?
একেবারেই না। এই সমস্ত খাবারেই থাকে অতিরিক্ত মিষ্টি। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত এই সমস্ত খাবার মাঝরাতে উঠে খেলে হজমের সমস্যা তো হবেই, ওজনও বাড়তে পারে হু-হু করে। তার চেয়ে বরং রাত-বিরেতে খিদে পেলে ভরসা রাখতে পারেন পেস্তা বাদামে।
কেন খাবেন?
ভিটামিন, খনিজে ভরপুর পেস্তায় থাকে ফাইবারও। পেস্তা বাদামে থাকে ‘আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া পটাশিয়াম ও বি ভিটামিন রয়েছে পেস্তায়। পাশাপাশি পেস্তায় ফ্যাটের পরিমাণ নগন্য। ফলে ওজন ধরে রাখতে চাইলে নির্দ্বিধায় খাওয়া যায় এই বাদাম। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও পেস্তা উপকারী। পেস্তায় ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ অনেক কম। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও নিশ্চিন্তে এই বাদাম খেতে পারেন। এতে থাকে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। ফলে ভিগান ও নিরামিষ খাবার যাঁরা খান, তাঁরাও নিশ্চিন্তে পেস্তা চিবোতে পারেন।
খেতেও বেশ
পেস্তা খাওয়া নিয়েও কারও আপত্তি থাকতে পারে না। কিঞ্চিৎ দামি হলেও, পেস্তা বেশ সুস্বাদু। ১০-১২টা পেস্তা নিয়ে দিব্যি রাতের খিদে মিটিয়ে নেওয়া যায়। চাইলে পেস্তার সঙ্গে কিশমিশ, শুকনো অ্যাপ্রিকট মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে নোনতা-মিষ্টি স্বাদ মিলবে। শেষপাতে কিছু খেতে চাইলে দইয়ের সঙ্গে পেস্তা মিশিয়ে নিলেও স্বাদ-পুষ্টি দুই-ই বাড়বে।