কোন বাদামের পুষ্টিগুণ কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
শুধু কাজুবাদামের বরফিই নয়, পায়েস, পোলাও থেকে বাঙালি ফ্রায়েড রাইস— সবেতেই কাজুবাদাম দেওয়া হয়। মধ্যবিত্ত বাড়িতে রান্নায় কাঠবাদাম খাওয়ার চল আগে খুব বেশি চোখে পড়ত না। তবে, ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হল কাঠবাদাম। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ইদানীং কাঠবাদাম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাঠবাদামের ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতি দিন সকালে কয়েকটি ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তা হলে কাজুবাদাম কি শুধু স্বাদের জন্য খাওয়া হয়? তার কোনও গুণই নেই?
কাঠবাদামের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই অন্ত্র ভাল রাখতে এই বাদাম খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। হার্টের জন্য ভাল আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এ ক্ষেত্রে দু’ধরনের বাদামই উপকারী। তবে কাজুবাদামে ফ্যাটের পরিমাণ একটু হলেও বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঠবাদামের মধ্যে যে পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, তা টাইপ ২ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, কাঠবাদামে রয়েছে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন ই। ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কাঠবাদামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
আবার আয়রন, জ়িঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের পরিমাণ বেশি কাজুবাদামে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি৬-এর ভূমিকা রয়েছে। এই দু’টি উপাদানই রয়েছে কাজুবাদামে। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কাজুবাদাম। কারণ, এই বাদামে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর স্বাদের দিক থেকে কাঠবাদামের তুলনায় কাজুবাদাম ভাল তো বটেই।
পাশাপাশি, আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল পরিমাণ। কাজু হোক বা কাঠবাদাম— কোনওটিই বেশি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন, তাঁদের কাজুবাদাম খাওয়ার পরিমাণে লাগাম রাখতে হবে। আবার উপকারী ভেবে মুঠো মুঠো কাঠবাদাম খাওয়াও খুব একটা কাজের কথা নয়।