ওজন কমানোর অন্য উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে নানা কারণ থাকে। বাইরের খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা না করা, মিষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম— তালিকা বেশ দীর্ঘ। অনিয়ম একটা বড় কারণ তো বটেই। পাশাপাশি, শারীরিক কিছু সমস্যা থাকলেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। এগুলি ছা়ড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্য এক কারণও আছে। শরীরে স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলেও মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পুষ্টির উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস হল খাবার। সুস্থ থাকতে ভিটামিন, মিনারেলস শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। তা না হলে শরীর খারাপের আশঙ্কা তো থাকেই, সেই সঙ্গে ওজনও বাড়ে। শরীরে কোন উপাদানগুলির ঘাটতি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে?
ভিটামিন ডি
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান হল ভিটামিন ডি। হাড় শক্তিশালী করে তোলা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— ভিটামিন ডি-র জুড়ি মেলা ভার। এই সমস্যাগুলি ছাড়াও ভিটামিন ডি-র অভাবে বাড়তে পারে ওজন। কারণ, এই ভিটামিন হজমের গোলমাল হতে দেয় না। শরীরে এই ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আর সেখান থেকেই ওজন বৃদ্ধির সূত্রপাত। মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, সয়াবিন, মাশরুম, সূর্যমুখী ফুলের বীজে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন ডি।
আয়রন
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা ক্লান্ত
লাগে। চনমনে ভাব কোথায় যেন হারিয়ে যায়। কোনও কাজে মন বসাতেও সমস্যা হয়। তবে এই
তালিকায় ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে। আয়রনের ঘাটতিতে ওজন বাড়তে পারে। বিন্স, মটরশুঁটি, বিভিন্ন ধরনের ডাল, টোফু, পালংশাক, ড্রাই ফ্রুটস আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস।
প্রোটিন
ওজন বশে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। ওজন বশে রাখতে প্রোটিনের জুড়ি মেলা ভার। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কমে গেলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারই বেশি করে খেতে হবে। ডিম, কাঠবাদাম, মুরগির মাংস, ছানা, গ্রিক ইয়োগার্ট হল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
ওমেগা ৩
ওজন বশে রাখার অন্য এক জাদুকাঠি হল ওমেগা ৩। শরীরে এর জোগান কমে গেলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ওজনও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, মাছে এই উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন মাছ এবং খাবার বেশি খেতে হবে। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ৩ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বীজ, আখরোট, বাদান, বিভিন্ন তেলেও এটি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি ১২
আরও এক স্বাস্থ্যকর উপাদান হল ভিটামিন বি ১২। বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে এই ভিটামিন অভাব। শারীরিক ক্লান্তি, চিনি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ক্লান্তি শরীরচর্চা করতে বাধা দেয়। অন্য দিকে চিনি ওজন বাড়িয়ে দেয়। রেড মিট, দুগ্ধজাত খাবার, ডিমে রয়েছে এই ভিটামিন।