ডায়েরিয়া রোগীর পথ্য। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালের অত্যন্ত পরিচিত অসুখ হল ডায়েরিয়া। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হতে থাকে। গরম যত বাড়তে থাকে, ডায়েরিয়াও ঘরে ঘরে ছ়ড়াতে শুরু করে। খুদে থেকে বয়স্ক— ডায়েরিয়ার হানা থেকে মুক্তি নেই কারও। চিকিৎসকদেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে ডায়েরিয়া। ডায়েরিয়া মূলত জলবাহিত ব্যাক্টেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীরের জল বেরিয়ে যায় বলে এই অসুখ খুবই দুর্বল করে দেয়।
রাস্তার ধারের রঙিন পানীয়ে চুমুক দেওয়া, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, গরমেও দেদার বাইরের খাবার খাওয়া— এ সব কারণে ডায়েরিয়া হানা দেয়। তাই এই সময় বাড়তি সাবধানতা মেনে চলার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ বাড়াবা়ড়ি হলে সোজা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তবে অসুস্থতা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকেও সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। এই অসুখ এড়াতে চিকিৎসকের বলে দেওয়া নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। ডায়েরিয়া হলে অনেকেই বুঝতে পারেন না, কী খাবেন আর কী খাবেন না। ডায়েরিয়া হলেও খাওয়া যায়, রইল তেমন কয়েকটি খাবারের খোঁজ।
কলা
কলায় পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। ডায়েরিয়া হলে শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। কলা সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটসের মাত্রা ঠিক রাখতেও কলা উপকারী। কলা হজমশক্তি উন্নত করে। ফলে পেটের সমস্যায় এই ফল ওষুধের মতো কাজ করে।
পাতলা স্যুপ
ডায়েরিয়া থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা না পর্যন্ত পাতলা, তরল খাবার খাওয়াই শ্রেয়। চিকেন স্যুপ খেতে পারেন। কিংবা মুসুর ডালের স্যুপ। স্যুপে সব্জি দিতে পারেন। ডি-হাইড্রেশনের কারণেই যে হেতু ডায়েরিয়া হয়, ফলে তরল খাবার খেলে জলের অভাব পূরণ হয় শরীরে।
ডিম সেদ্ধ
ডায়েরিয়া শরীর দুর্বল করে দেয়। তাই শক্তি ফিরে পেতে ডিমসেদ্ধ খেতে পারেন। ডিমে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে শরীরকে ভিতর থেকে চাঙ্গা করে তোলে ডিম। তবে ডায়েরিয়া হলে দিনে একটার বেশি ডিম না খাওয়াই শ্রেয়। না হলে পেট গরম হতে পারে।
সেদ্ধ শাকসব্জি
গাজর, বিন্স, ব্রকোলি এবং পছন্দের আরও কিছু সব্জি সেদ্ধ করে খেতে পারেন। সব্জিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা শরীরের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে। পেটের গোলমালও দ্রুত কমায়।